বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পূর্ব নির্ধারিত গণসমাবেশের জন্য সব মেনেই আমরা ডিএমপির কাছে অনুমতি চেয়েছি। সেখানেই আমরা আমারে ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ করব। পুলিশ অনুমতি দিতে যদি অপারগতা প্রকাশ করে, তাহলে গণসমাবেশ হবে। অনুমতি দিলেও করব, না দিলেও করব। তারা আওয়ামী লীগকে অনুমতি দেবে, আর আমাদের দেবে না- তা তো হবে না। তাদের অনুমতির অপেক্ষা আর করবো না। মনে রাখতে হবে, এ দেশটা কেবল আওয়ামী লীগের না, আমাদের সবার।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
‘১০ ডিসেম্বর ঢাকার ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পাহারা দেবে’ সেক্ষেত্রে কোনও সংঘাতের আশঙ্কা করছেন কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে গয়েশ্বর বলেন, আমরা ইতোমধ্যে সাতটি গণসমাবেশ করেছি। সব জায়গায় সরকারি দলের নেতাকর্মীরা বাধা দিয়েছে, হামলা করেছে। প্রশাসন দিয়ে মামলা-গ্রেপ্তার করেছে। সব পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে। মোট কথা, সকল ধরনের চেষ্টা করেছে সমাবেশগুলো বানচাল করার জন্য। কিন্তু সফল হয়নি। সুতরাং ঢাকার গণসমাবেশে তারা এসব আবারও করবে, সেটাই স্বাভাবিক ব্যাপার।
তিনি আরও বলেন, রাতারাতি আওয়ামী লীগ ভালো হয়ে যাবে, সেটা দেশের মানুষ যেমন বিশ্বাস করে না, তেমনি আশাও করে না। কিন্তু এবার আমরা সরকারের ফাঁদে পা দেব না। আমরা সংঘাত এড়িয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ করব।
ঢাকার গণসমাবেশ থেকে সরকার পতনের কোনও ঘোষণা আসবে কিনা- জানতে চাইলে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, এখনও ১০ ডিসেম্বর অনেক দূর। এই নিয়ে এত আগে কিছু বলতে চাই না। আপনারা ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশে আসবেন। ১০ ডিসেম্বরের কথা সেই দিনই বলবো। আগাম কোনো কথা কেউ বলবে না, আমিও বলব না। আমরা ১০ ডিসেম্বর অবশ্যই পরবর্তী কঠোর কর্মসূচি দেবো। তবে, ১০ ডিসেম্বরের আগে যদি সরকার জনগণের দাবি মেনে নেয়, সেটা তো অন্য রকম। যদিও আমরা সেটা প্রত্যাশা করতে পারছি না।