গ্রেপ্তারের পর চেয়ারম্যানকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় হামলা, আটক ২ 

ডেস্ক রিপোর্ট
  ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১:৪৯

কক্সবাজারে যৌথবাহিনীর হাতে আটক পিএমখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহকে ছাড়িয়ে নিতে সদর মডেল থানায় হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। হামলাকারীদের ইট-পাটকেলে আহত হয়েছে পুলিশের কয়েকজন সদস্য। হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। খবর পেয়ে থানা পরিদর্শন করতে আসেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ।
এ ঘটনায় আটককৃতরা হলেন, পিএমখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড ছনখোলা এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে মোহাম্মদ শাহেদ ও একই এলাকার আমির হামজার ছেলে মুমিনুল হক।
আব্দুল্লাহ কক্সবাজার সদর উপজেলার পিমখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ছনখোলা গ্রামের বাসিন্দা আলহাজ্ব ফজলুল হকের ছেলে।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, কক্সবাজারে এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে যৌথবাহিনী সোমবার দুপুরে পিএমখালী ইউনিয়ন পরিষদে অভিযান চালিয়ে চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহকে আটক করে থানায় পাঠায়। বেলা ৩টার দিকে তার অনুসারীরা থানায় হামলা চালিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করে। তাদের বাধা দিতে গিয়ে আমাদের দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
এসপি আরও বলেন, থানায় হামলার সঙ্গে জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করে ২৪ ঘণ্টার ভেতরে আইনের আওতায় আনা হবে।
পিএমখালী থেকে থানায় আসা কয়েকজন জানিয়েছেন, আব্দুল্লাহ জনপ্রিয় চেয়ারম্যান। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। বিনা অপরাধে তাকে আটক করা হয়েছে। তাই সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে থানায় প্রতিবাদ করতে এসেছে।
কক্সবাজার মডেল থানার ওসি ফয়জুল আজিম নোমান বলেন, যৌথবাহিনীর হাতে আটক আব্দুল্লাহকে থানায় আনা হলে তার ৫০-৬০ জন অনুসারী একত্রিত হয়ে সদর থানায় এসে হামলা করে এবং তাকে ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করে। কক্সবাজার শহরে আহসান হাবিব হত্যা মামলায় আব্দুল্লাহকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। হামলার সময়ের ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে মাঠে কাজ করছে পুলিশ।