বিয়ানীবাজারে চলছে প্রোডাকশন টেস্ট

গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে জাতীয় গ্রিডে

সিলেট প্রতিনিধি
  ২৮ নভেম্বর ২০২২, ১৩:৫০
আপডেট  : ২৮ নভেম্বর ২০২২, ১৩:৫২

চলছে প্রোডাকশন টেস্ট। এই কাজটুকু শেষ হলেই যে কোন মুহূর্তে শুরু হবে সিলেটের বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রের ১ নম্বর কূপ থেকে জাতীয় সঞ্চালন লাইনে গ্যাস সরবরাহ। 
গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহের চূড়ান্ত পর্ব ফাইনাল প্রোডাকশন টেস্ট রোববার (২৭ নভেম্বর) রাত থেকে শুরু হয়েছে। জানিয়েছেন সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের (এসজিএফএল) মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল প্রামানিক।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন (বাপেক্স) কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্তমানে কূপের ৩ হাজার ২৫৪ মিটার গভীরে ৭০ বিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাস মজুত আছে। গ্যাসের চাপ পরীক্ষার পর দেখা গেছে, কূপটি দৈনিক ১০ থেকে ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে সক্ষম। তবে কারিগরি বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে দৈনিক আট মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এতে দৈনিক ১২৫ থেকে ১৩০ ব্যারেল কনডেন্স গ্যাস পাওয়া যাবে বলেও আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা বিয়ানীবাজারের ১ নং কূপ গত সেপ্টেম্বরে খনন কাজ শুরু করে বাপেক্স।
এসজিএফএল মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) বলেন, রোববার বিকেলে আমরা পরীক্ষামূলক সব কাজ সম্পন্ন করেছি। গ্যাসের চাপ পরীক্ষার (টেস্টিং) কাজ শেষে চূড়ান্ত পর্যায়ে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহের জন্য কারিগরি সব প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে যে কোন মুহূর্তে কূপ থেকে সঞ্চালন লাইনে গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে। এই কূপ থেকে প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন গ্যাস গ্রিড লাইনে সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রটি এসজিএফএল আওতাধীন। এই গ্যাসক্ষেত্রের ২ নম্বর কূপ থেকে দৈনিক ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ হচ্ছে।
এসজিএফএল সূত্রে জানা গেছে, বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপ থেকে ১৯৯১ সালে গ্যাস তোলা শুরু হয়। ২০১৪ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৬ সালে আবার উত্তোলন শুরু হলেও ওই বছরের শেষ দিকে আবারও তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৭ সালের শুরু থেকেই কূপটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। এরপর বাপেক্স ওই কূপে অনুসন্ধানকাজ চালিয়ে গ্যাসের মজুত পায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ সেপ্টেম্বর ওই কূপে নতুন করে পুনঃখননকাজ (ওয়ার্ক ওভার) শুরু হয়। পুণঃখনন শেষে গত ১০ নভেম্বর থেকে কূপে গ্যাসের মজুদের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। এরপর গ্যাসের চাপ পরীক্ষা শেষে কূপ থেকে দ্রুত জাতীয় সঞ্চালন লাইনে গ্যাস দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়।
এসজিএফএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, বর্তমানে এই কূপের ৩ হাজার ২৫৪ মিটার গভীরে ৭০ বিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাস মজুত আছে। গ্যাসের চাপ পরীক্ষার পর দেখা গেছে কূপটি দৈনিক ১০ থেকে ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে সক্ষম। তবে কারিগরি বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে দৈনিক আট মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এতে দৈনিক ১২৫ থেকে ১৩০ ব্যারেল কনডেন্স গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।