আমিরাতের শপিং সেন্টারে শামীম ওসমান

ডেস্ক রিপোর্ট
  ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:১৪

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন্নভাবে দেশ থেকে পালিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ দলটির অনেকেই। নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানও দেশ ছেড়েছেন। ভারত হয়ে তিনি গেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
মঙ্গলবার আরব আমিরাতের আজমান সিটি সেন্টারে তাঁকে দেখা গেছে। রাত ৯টায় শপিং সেন্টারটিতে তাঁকে ঘুরতে দেখেন প্রবাসীরা। তাঁর সঙ্গে বোরকা পরিহিত দু’জন নারীকে দেখা গেছে। তিনজনের হাতে লাল সুতা বাঁধা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, সম্প্রতি ভারতে নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার দরগাতে এই সুতা বেঁধেছেন তারা। 
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স হাতে শামীম ওসমান একটি মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠানে যান। এ সময় তিনি শপিং সেন্টারটিতে থাকা বাংলাদেশিদের ছবি তুলতে বারণ করেন। 
সম্প্রতি তাঁকে দিল্লিতে নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার দরগায় দেখা যায়। জানা গেছে, সরকার পতনের পর শামীম ওসমান দালালদের সহায়তায় রাতের আঁধারে বোরকা পরে ভারতে পালিয়ে যান। সেখান থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাড়ি দেন তিনি। 
শামীম ওসমান ও তাঁর ভাই একেএম সেলিম ওসমানের দীর্ঘদিন ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাতায়াত রয়েছে। দেশটির আজমান প্রদেশে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০১৭ সালে আমিরাতে আজমান প্রবাসী ব্যবসায়ীদের এক অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু হাই স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য ১ লাখ দিহরাম অনুদানের ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় আসেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান।

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্যদের দেশ থেকে পালানো নিয়ে যা বলল র‍্যাব
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকে সম্প্রতি ভারতের কলকাতার ইকোপার্কে বসে গল্প করতে দেখা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার এমন একটি ভিডিও ফুটেজ বেসরকারি টিভি চ্যানেল-২৪ এর হাতে আসে। আসাদুজ্জামান খান কামাল ছাড়াও ভিডিওতে সাবেক সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল, অপু উকিল ও হাজী সেলিমের এক ছেলেকে দেখা যায়।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালসহ অন্যরা কীভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, এ বিষয়ে আজ বুধবার জানতে চাওয়া হয় র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌসের কাছে।
কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমাদের কাছে এরকম কোনো তথ্য নেই। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈধভাবে গেছেন নাকি অবৈধভাবে গেছেন, সে সম্পর্কে র‍্যাবের কাছে কোনো তথ্য নেই। এখানে র‍্যাবের কোনো ধরনের উদাসীনতা বা গাফিলতির বিষয় নেই। আমাদের যে দায়িত্ব ও কর্মপরিধি, সে অনুযায়ী সর্বোচ্চ কাজ করে যাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নজিরবিহীন দমন-পীড়ন চালানো হয় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের নির্দেশে। তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে অর্ধশতাধিক মামলাও হয়েছে।