রোহিঙ্গা পুনর্বাসনে আলোচনা করতে ঢাকায় আসছেন মার্কিন মন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট
  ০৩ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:৪৮
আপডেট  : ০৩ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:৫০

চারদিনের সফরে ঢাকায় আসছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী জুলিয়েটা ভ্যালস নয়েস। তার সফরে বাংলাদেশে সাময়িকভাবে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসন নিয়ে আলোচনা হবে।
৪ ডিসেম্বর ঢাকায় আসার কথা রয়েছে এই মার্কিন মন্ত্রীর। 
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া কিছু রোহিঙ্গাকে পুনর্বাসন করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। সুনির্দিষ্টভাবে নাম-পরিচয়ের বিস্তারিত জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসনে রাজি হওয়া অর্ধশতাধিক রোহিঙ্গার একটি তালিকা সম্প্রতি ঢাকাকে দিয়েছে ওয়াশিংটন। কিভাবে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করতেই যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থী ও অভিবাসন মন্ত্রীর এ সফর।
তৃতীয় দেশে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কয়েকটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের নেওয়ার বিষয়টি তাদের প্রথম অগ্রাধিকার। নারীদের মধ্যে যারা রাখাইনে সম্ভ্রম হারিয়েছে এবং যাদের পরিবার বলতে এখানে তেমন কেউ নেই, তাদেরকে পুনর্বাসন করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
জানা গেছে, ৫ ডিসেম্বর রোহিঙ্গাদের সরেজমিনে দেখতে কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাবেন জুলিয়েটা। সেখানে তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ করবেন। পরদিন মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের দেখতে যাওয়ার কথা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রীর।
সফরে পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন জুলিয়েটা। এছাড়া তিনি শরণার্থী নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের অধীন এনজিও সংস্থাগুলোর আঞ্চলিক প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমের সঙ্গেও মতবিনিময় করবেন।
কূটনৈতিক সূত্রগুলোর ভাষ্য, যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যুর বাহিরে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবের বিষয়টি তুলবেন।
সম্প্রতি রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর দমন অভিযানের পাঁচ বছর পূর্তিতে দেওয়া বিবৃতি দেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নেওয়ার ঘোষণা দেন। তবে সেই ঘোষণায় কত সংখ্যক রোহিঙ্গাকে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া হবে, সে বিষয়ে কিছু বলেননি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।