লং আইল্যান্ডে হয়ে গেল চাটগাঁবাসীর মহামিলন

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১০ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৯

রৌদ্রঝলমল এক রোববার। সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল ৪ জুলাই—যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবসের ছুটি। টানা তিন দিনের ছুটির সুযোগ থাকলেও কেউ যাননি কানকুন কিংবা ক্যারিবিয়ান, ফ্লোরিডা বা নায়াগ্রা জলপ্রপাত। সবাই ছুটে এসেছেন নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডে বেলমন্ট লেক স্টেট পার্কে, চিটাগাং অ্যাসোসিয়েশন অব নর্থ আমেরিকার বাৎসরিক পিকনিকে অংশ নিতে।

সকাল থেকেই ম্যাপল প্যাভিলিয়নে ভিড় জমাতে থাকেন নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, কানেকটিকাট, আটলান্টা, ফিলাডেলফিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেসসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর থেকে আগত প্রবাসী চট্টগ্রামবাসীরা। পুরো এলাকাটি বর্ণিলভাবে সাজানো হয়। তরমুজ স্ট্যান্ড, সদস্য সংগ্রহ বুথ, শিশুদের জন্য তাবু—সব মিলিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ।
পিকনিকের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয় বেলুন উড়িয়ে। উদ্বোধক ছিলেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও দানবীর আব্দুল কাদের মিয়া। তিনি বলেন, “চট্টগ্রামের মানুষদের পাশে থাকতে পারা গর্বের ব্যাপার।”
নাস্তা শেষে শুরু হয় অনুষ্ঠানের মূল পর্ব। নামাজের পর পরিবেশন করা হয় দুপুরের খাবার। নারী, পুরুষ ও শিশুদের জন্য ছিল আলাদা বুথ। সবাই সারিবদ্ধভাবে খাবার গ্রহণ করেন। খাওয়া শেষে শুরু হয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক আয়োজন। ক্রীড়া সম্পাদক মো. ইছার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয় দৌড়, অংকের খেলা, দড়ি টানাটানি, হাঁড়িভাঙাসহ নানা প্রতিযোগিতা। অংশগ্রহণকারীদের ছিল উৎসবমুখর অংশগ্রহণ।


এরপর একে একে গান পরিবেশন করেন শিল্পীরা—বাপ্পি সোম, হাসান মাহমুদ, নাসির ও শিমুল খান। জনপ্রিয় গানে নাচে গানে মেতে ওঠেন উপস্থিত সবাই। মাঠেই তৈরি হয় গরম চা ও ঝালমুড়ির আয়োজন।
পিকনিকের শেষ পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয় রাফেল ড্র। পুরস্কারের তালিকায় ছিল এক ভরি সোনার চেইন, নিউইয়র্ক-ঢাকা এয়ার টিকিট, ৬৫ ইঞ্চির স্মার্ট টিভি, ল্যাপটপসহ আকর্ষণীয় উপহারসামগ্রী।
এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের মানিক, ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হানিফ, কাজী শাখাওয়াত হোসেন, সরোয়ার জামান সিপিএ, শামশুল আলম, নির্বাচন কমিশনার সাহাবুদ্দিন সাগর, মঈন চৌধুরী, আবুল হাশেম সিপিএ, কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন, মুনির আহমেদসহ শতাধিক সংগঠক ও বিশিষ্ট ব্যক্তি।
সংগঠনের সভাপতি মো. আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “প্রবাসে চট্টগ্রামবাসীর বন্ধনকে আরও দৃঢ় করতেই এই আয়োজন। ভবিষ্যতেও আমরা এই ঐতিহ্য বজায় রাখব।”
পিকনিক কমিটির আহ্বায়ক ইমরুল কায়সার, সদস্য সচিব মো. ইছা ও প্রধান সমন্বয়কারী মো. আরিফ চৌধুরী উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতের আয়োজনেও একইভাবে পাশে থাকার আহ্বান জানান।