লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিজাম উদ্দিন (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার (২ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকেলে লেবাননের বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চল হাজমিয়া এলাকায় বিমান হামলায় নিজাম নিহত হন। নিহত নিজাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাড়েরা ইউনিয়নের খাড়েরা গ্রামের প্রয়াত মো. আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে লেবাননের বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে। কাজে যাওয়ার পথে সেখানে কফি খাওয়ার জন্য গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে দূতাবাস। এদিকে নিজামের নিহতের সংবাদে তার পরিবারে চলছে শোকের মাতম। তারা নিজামের মরদেহ দেশে আনার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।
নিহত নিজামের বড় ভাই জালাল উদ্দিন জানান, জীবিকার তাগিদে তার ভাই ১২ বছর আগে লেবাননে যান। আজ রাতে তার মৃত্যুর সংবাদ পান। কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, আমরা আমাদের একমাত্র ভাইয়ের লাশটা দেখতে চাই। সরকারের কাছে আমাদের আর কিছু চাওয়ার নেই। সরকার যেন আমার ভাইয়ের লাশটা দেশে আনার ব্যবস্থা করে দেন।
নিহত নিজামের বৃদ্ধা চাচী খোদেজা বেগম বলেন, আমার ভাতিজা লেবাননে যাওয়ার পর আর দেশে আসেনি। সরকারের কাছে আমার অনুরোধ, আমার ভাতিজার লাশটা যেন এনে দেয়। আমি আমার ভাতিজার লাশটা দেখতে চাই।
জানা গেছে, নিজামরা চার ভাইবোন। তাদের বাবা-মা নেই। খাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান জানান, নিহতের ভাই জালালের মাধ্যমে তিনি নিজামের মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পান। তিনি নিজামের মরদেহ দেশে আনার জন্য প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান।
এদিকে বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাস এক শোকবার্তায় জানায়, লেবাননে প্রবাসী বাংলাদেশি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন (পাসপোর্ট নং ইএফ০৬২০০৪৩) শনিবার বিকেল ৩টা ২৩ মিনিটে বৈরুতের হাজমিয়া এলাকায় কর্মস্থলে যাওয়ার পথে (একটি কফিশপে অবস্থানকালে) বিমান হামলায় ঘটনাস্থলে মারা যান।
লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এয়ার ভাইস মার্শাল জাভেদ তানভীর খান নিজাম উদ্দিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহরিয়ার মোক্তার জানান, মরদেহ দেশে আনার বিষয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।