যত খুশি তত ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড কিনতে পারবেন প্রবাসীরা। ৩ নভেম্বর (রবিবার) সরকারের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ এ মুমেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, অনিবাসী বা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড এবং ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের মতো ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বসীমা প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং স্বয়ংক্রিয় পুনর্বিনিয়োগ সুবিধা অধিকতর যৌক্তিক করা হয়েছে। বিদেশি মালিকানাধীন শিপিং বা এয়ার ওয়েজ কোম্পানির বিদেশেরঅফিসে চাকরিরত বাংলাদেশি মেরিনার, পাইলট ও কেবিন ক্রুদের ওয়েজ আর্নার বন্ড এ বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছে।
সৈয়দ এ মুমেন বলেন, ‘ওই প্রজ্ঞাপনে পেনশনারদের সুবিধার্থে পেনশনার সঞ্চয়পত্রে ত্রৈমাসিক মুনাফার পরিবর্তে প্রতি মাসে মুনাফা প্রদানের বিধান করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনটি চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডের ক্ষেত্রে এখন থেকে বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা থাকবে না বিধায় অনিবাসী বাংলাদেশিরা যে কোনো অংকের অর্থ এই বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারবেন। ‘জাতীয় সঞ্চয় স্কিম’ এর আওতাধীন পরিবার সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড এবং ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের ক্ষেত্রে মূল বিনিয়োগ করা অর্থ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনর্বিনিয়োগ করা যাবে। এ ছাড়াও পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র এবং ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক-মেয়াদি হিসাবের ক্ষেত্রে মুনাফাসহ মূল বিনিয়োগ করা অর্থ পুনর্বিনিয়োগের সুবিধা থাকবে।’
এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে একবার আনা রেমিট্যান্সের অর্থ এক মেয়াদে বিনিয়োগ এবং আরও দুই মেয়াদে পুনর্বিনিয়োগ অর্থাৎ তিন মেয়াদে মোট ১৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করা যাবে।’
জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের অধীনে ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড এবং ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা প্রত্যাহার ও সঞ্চয়পত্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনর্বিনিয়োগের সুবিধা প্রদান এবং বাংলাদেশি মেরিনার, পাইলট ও কেবিন ক্রুগণের জন্য ওয়েজ আর্নার বন্ডে বিনিয়োগের সুবিধা প্রদান করায় সব প্রবাসী বাংলাদেশি অধিক পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা যথাযথভাবে বাংলাদেশে আনয়ন ও বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে।