২৫ মার্চের ভয়াল কালরাতের ৫৩ বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহল এটিকে গণহত্যা হিসেবে আজও স্বীকৃতি দেয়নি। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে আয়োজিত এক সেমিনারে গণহত্যার বিচার ও বর্বরতা ঠেকাতে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি জানান বিশিষ্টজনরা।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ, অপারেশন সার্চলাইট, নির্বিচারে নিরস্ত্র বাঙালিদের হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। দাবি করা হয়, এক রাতেই হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়। সেদিনের রক্তের বন্যা থামে ৯ মাস পর ৩০ লাখ মানুষের প্রাণের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতায়। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও মেলেনি গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি আদায়ে ২৫ মার্চ (সোমবার) ব্রিটিশ পার্লামেন্ট হাউস অব লর্ডসে সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডন। সেমিনারে বক্তারা বলেন, ইতিহাসে নজিরবিহীন এমন বর্বরতার যাতে আর পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য প্রয়োজন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, ১৯৭১ সালের জুন মাসে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বাংলাদেশের গণহত্যা নিয়ে আর্লি ডে মোশন হয়েছিলে। আমরা এই সেমিনারের মাধ্যমে ব্রিটিশ পার্লামেন্টারিয়ানদের আবারও আর্লি ডে মোশন উত্থাপনের আবেদন জানিয়েছি।
২০১৭ সাল থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। তবে ৫৩ বছর পর এখনো সেই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মেলেনি। বিজ্ঞজনেরা অবশ্য মনে করেন, ভূরাজনৈতিক জটিলতাসহ নানা কারণে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলছে না।
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে এই সেমিনারে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদরাও উপস্থিত ছিলেন।