শ্রমিকদের ভিসা সহজ করার জন্য যুক্তরাজ্যর প্রতি আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর

ডেস্ক রিপোর্ট
  ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৩

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি যুক্তরাজ্যের হসপিটালিটি এবং ক্যাটারিং খাতে কাজ করতে চাওয়া বাংলাদেশি রেস্তোরাঁ কর্মীদের জন্য ভিসার শর্ত সহজ করার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন। স্থানীয় ২৫ এপ্রিল যুক্তরাজ্যের অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এপিপিজি) বাংলাদেশ বিষয়ক হাই প্রোফাইল সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এপিপিজি অন বাংলাদেশ চেয়ার রুশনারা আলী এমপির সভাপতিত্ব এ সংলাপে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম, বব ব্ল্যাকম্যান এমপি এবং এপিপিজির ভাইস-চেয়ার লর্ড করণ বিলিমোরিয়া বক্তব্য রাখেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ পরিণত করার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী বাংলাদেশিসহ সারা বিশ্বে বসবাসরত বাংলাদেশিদের চলমান মঙ্গল এবং কল্যাণ প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সরকারের প্রগতিশীল পররাষ্ট্রনীতির ফলে বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। তিনি উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের দীর্ঘস্থায়ী ঐতিহাসিক সম্পর্ক আরও বিস্তৃত ও গভীর করার এখনও অনেক ক্ষেত্র অন্বেষণের সুযোগ রয়েছে।
তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন যে, যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর ও শহরের বাংলাদেশী রেস্তোরাঁগুলি সুদক্ষ কর্মীদের অভাবের সম্মুখীন হচ্ছে। একারণে যুক্তরাজ্য ন্যূনতম বার্ষিক বেতন ৩৮০০ পাউন্ডে উন্নীত করেছে, যা অনেক রেস্তোরাঁর মালিকদের পক্ষে বহন করা কষ্টসাধ্য। প্রতিমন্ত্রী, হসপিটালিটি সেক্টরে কর্মরত ব্যক্তিদের ন্যূনতম বার্ষিক বেতনের শর্ত শিথিল করতে যুক্তরাজ্য সরকারকে আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ দক্ষ নির্মাণ শ্রমিক এবং খামার শ্রমিক দিতে পারে যারা যুক্তরাজ্যে মৌসুমী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে পারবে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য সরকার একযোগে বাংলাদেশী দক্ষ শ্রমিকদের জন্য রেস্তোরাঁ কর্মী, চিকিৎসক ও নার্সসহ আরও কাজের সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রুশনারা আলী এমপি। অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের উচ্চপদস্থ সংসদীয় কর্মকর্তা এবং ব্রিটিশ-বাংলাদেশী সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।