বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন উত্তর আমেরিকা -এর নব নির্বাচিত কার্যকরী পরিষদ (২০২৪ - ২০২৫) এর অভিষেক অনুষ্ঠান। নব নির্বাচিত কমিটিতে সভাপতি হয়েছেন সাবিনা শারমিন নিহার এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন মীর কাদের রাসেল ।
১৬ মে বৃহস্পতিবার নিউ ইর্য়কের কুইন্সের রীচি রীচ এর হলরুমে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে প্রানের টানে মনের মিলের সুদৃঢ় বন্ধনের রুপ দিতে নিউইয়র্কের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা চবিয়ানরা গান, আনন্দ ফুর্তি ও আড্ডায় এক আনন্দঘন মিলনমেলা পরিনত করে।
আবদুল আজিজ নাঈমীর পরিচালনা অভিষেক অনুষ্ঠান পর্বটিতে -নব নির্বাচিত কার্যকরী পরিষদের সকলকে একে একে মঞ্চে আসার আহবান জানান এবং ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। নব নির্বাচিত সভাপতি সাবিনা শারমিন নিহার উপদেষ্টা মন্ডলীর সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেন এবং কার্যকরী কমিটির সদস্যরা তাঁদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করেন।
সাবিনা শারমিন নিহার এবং আহসান জুয়েলের প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাধারন সম্পাদক মীর কাদের রাসেল। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল-এর কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হুদাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন আজিজ নাঈমী এবং গোলাম মোহাম্মদ মুহিত।
অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষন গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীতশিল্পী কিংবদন্তি সোলস এর গায়ক নকীব খানকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান উনার ব্যাচের বন্ধুরা। বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাইয়ের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান মাকসুদা বেগম, ফরিদা শিরীন খান এবং ফারহানা আক্তার।
বীর মুক্তিযোদ্ধা, গীতিকার, সুরকার, চিত্রশিল্পী, সঙ্গীতশিল্পী তাজুল ইমামকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাল এলামনাই পরিবারের সদস্য শিলা মুহিত এবং নাসিমা আক্তার, জান্নাতুল মুরশিদা।
নকীব খান তার পরিবেশনায় একে একে গেয়ে শোনান - মন শুধু মন ছুঁয়েছে, ভালো লাগে জোছনা রাতে, ঐ ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায়, তোরে পুতুলের মত করে সাজিয়ে, খতদিন অইয়েদে বাডিত ন যাইদ্দি, ও নদীরে তুই যাস কোথায় রে, তুমি এলে পায়ে পায়ে জোছনা ছুঁয়ে যায় -সহ অনেক জনপ্রিয় গান।
অনুষ্ঠানে তাজুল ইমাম এর গান সবাইকে বিমোহিত করে। আয়োজনে আরো সঙ্গীত পরিবেশন করেন অনুপ দাশ ও রুদ্রনীল দাশ রুপাই। আবৃত্তি ও ছড়া পরিবেশন করেন- সুরী এবং চট্টগ্রামের ছড়া পরিবেশন করেন পিংকি চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে তবলায়- দেবু চৌধুরী, কীবোর্ডে- সাইফুল মিঠু, গিটারে- নাইস চৌধুরী এবং সাউন্ডে ছিলেন আরিফুজ্জামান আরিফ। ভিডিও ধারণ এবং ফটোগ্রাফারে ছিলেন ওয়াহিদুজ্জামান বকুল এবং মোকাররম আহমেদ।