জগন্নাথ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়ার বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) এবং কমিটি নবায়ন করা হয়েছে। রোববার (১১ আগস্ট) সিডনির বোরোনিয়া গ্রোভ কমিউনিটি সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের অ্যালামনাইরা অংশগ্রহণ করেন এবং অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে একতা এবং অভিন্ন উত্তরাধিকারের অনুভূতি তৈরি করে। এজিএমটি ছিল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান যা গত বছরের সাফল্যকে পর্যালোচনা করার, ভবিষ্যতের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করার এবং নতুন নির্বাহী কমিটি সদস্যদের নির্বাচন করার একটি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করেছে।
এজিএম চলাকালীন বিদায়ী সম্পাদক ড. সুভাষ চন্দ্র সাহা গত বছরে অ্যাসোসিয়েশনের অর্জনগুলোর ওপর আলোচনা করেন। সফল ইভেন্ট, দাতব্য উদ্যোগ এবং অ্যালামনাই নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টাগুলোর কথা উল্লেখ করেন। বছরের আর্থিক প্রতিবেদনও উপস্থাপন করা হয় যা অ্যাসোসিয়েশনের স্বচ্ছতা এবং দায়িত্বশীল ব্যবস্থাপনার প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে।
এজিএমের একটি মূল আকর্ষণ ছিল নতুন নির্বাহী কমিটির নির্বাচন। নতুন নেতৃত্ব দলটি আগামী বছরের জন্য তাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন যা আরও বেশি অ্যালামনাইদের সম্পৃক্ত করা, আউটরিচ প্রোগ্রাম সম্প্রসারণ এবং বাংলাদেশের বর্তমান ছাত্রদের সহায়তা করার ওপর গুরুত্ব দেয়।
সংগঠনের কমিটি নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন পংকজ বাড়ৈ। তাকে সহযোগিতা করেন সুদর্শন দাস। সর্বসম্মতিতে সভাপতি নির্বাচিত হন সুবল চৌধুরী আর মিহির সরকারকে করা হয় সহ-সভাপতি।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন প্রশান্ত সাহা। আর কোষাধক্ষ হিসেবে বেছে নেওয়া হয় সজল হালদারকে। স্পোর্টস সেক্রেটারি হন নিকেশ নাগ। আর শতদল তালুকদারকে দায়িত্ব দেওয়া হয় মিডিয়া ও কালচারাল সেক্রেটারির। অন্যান্য এক্সিকিউটিভ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন সুজিত দাস, সুরজিৎ রায় এবং মলয় সাহা।
নতুন কমিটির সভাপতি সুবল চৌধুরী স্বাগত বক্তব্যে বলেন, এজিএমটি অ্যালামনাইদের পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে পুনরায় সংযোগ স্থাপনের, স্মৃতি শেয়ার করার এবং জগন্নাথ হলের বর্তমান ছাত্রদের কল্যাণে অবদান রাখার উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করার একটি সুযোগও প্রদান করে। তাই বছরজুড়ে সদস্যদের মধ্যে একতা এবং আন্তরিকতার সুস্পষ্ট স্বাক্ষর পরিলক্ষিত হয়। আর সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত সাহা তার বক্তব্যে সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান করেন।