ধর্মীয়-সংখ্যালঘু হিন্দু নির্যাতন বন্ধ করুন

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১২ আগস্ট ২০২৪, ১৩:৩৭

৯ আগস্ট  বৃহস্পতিবার ইউনাইটেড হিন্দুস অফ ইউ.এস,এ’র উদ্যোগে বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ই্‌উনাইটেড নেশন্স সংলগ্ন ডাগ হেমারশোল্ড প্লাজায় এবং বিকেল ৫:৩০ থেকে সন্ধ্যা ৭:৩০ পর্যন্ত টাইম স্কোয়ারে দুই হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি-আমেরিকান হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী কালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউননূস ও সেনাবহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ্জমান  দেশে চলমান হিন্দু নির্যাতন বন্ধ করার লক্ষ্যে আদৌ কোন উদ্যোগ গ্রহন না করার প্রতিবাদে তীব্র বিক্ষোব প্রকাশ করেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রামদাস ঘরামীর সঞ্চালনায়, পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ডাক্তার প্রভাত দাস কর্তৃক ঁ গীতা পাঠের মাধ্যমে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। উক্ত meসভায নিউ ইয়র্ক, নিউ যার্সী ও কানেটিকাট থেকে আগত চল্লিশটি হিন্দু ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান এবং মানবাধিকার সংগঠনসমূহ নিজ নিজ ব্যানার নিয়ে এই বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেয়। সংগঠনের সভাপতি ভজন সরকারের উদ্বোধনী বক্তব্যের পর সমাবেশে যারা বক্তব্য প্রদান করেন তাঁরা হলেন ইউনাইটেড হিন্দুস অফ ইউ.এস,এ’র সহসভাপতি ভবতোষ মিত্র, কোষাধ্যক্ষ সঞ্জিত ঘোষ, পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান ডাক্তার প্রভাত দাস ও সদস্য সচিব সুশীল সিনহা  শিতাংশু গুহ ও সুশীল সাহা, সাধারণ সম্পাদক ডক্টর দ্বিজেন ভট্টাচার্য্য ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিষ্ণু গোপ; অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন বিভিন্ন মন্দির ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গোপাল সাহা, সুমতিা বিশ্বাস, রণজিৎ সাহা, গৌরাঙ্গ দেব, অশীষ ভৈৗমিক, অজিত চন্দ, সুমন সূত্রধর, অধীর চন্দ্র, চম্পা নন্দী, দেবব্রত ঘোষ প্রমুখ। বিক্ষোভ সমাবেশের পক্ষ থেকে জাতিসঙ্ঘের সেক্রেটারি জেনারেলের কাছে একটি স্মারকলিপিটি পৌঁছে দেয়া হয়, যাতে গত কয়েক দিনে দেশে হিন্দু নির্যাতনের দেশী বিদেশী মিডিয়ায় প্রকাশিত সকল বীভৎস নির্যাতনের সচিত্র সংবাদ সংযুক্ত করা হয়। তা’তে বলা হয় যে, সেনা বাহিনী চাইলেই এই নির্যাতন বন্ধ করতে পারত কিন্ত করেনি, এবং একইভাবে প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর ইউনূস একটিবার যদি এই মর্মে হুশিয়ারী দিতেন যে, সকল সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচার হবে তা’হলেও সেটা বন্ধ হয়ে যেত, কিন্ত তিনিও সেটা করেননি, যা নির্যাতকদের প্রশ্রয় দেওয়ার নামান্তর। স্মারকলিপিতে আরও বলা হয় যে, বাংলাদেশের সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তারা যদি বিদেশে সুনামের সঙ্গে শান্তিরক্ষী হিশেবে কাজ করতে পারেন নিজের দেশে তাঁরা সেটা করছেন না কেন – সেক্রেটারি-জেনারেল তাঁদের সেই দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেই তাঁরা সেটা নিজেদের স্বার্থেই করবেন।
কয়েকজন বক্তা বলেন, ছাত্র নেতারা দেশে শুধু শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সংঘটিত সকল অপরাধের বিচার করার কথা বলছেন কেন, তাঁরা ২০০১ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত সকল সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের কথা বলছেন না কেন – বৈষম্য না করে একই সঙ্গে সেই সব অপরাধেরও বিচারের উদ্যোগ গ্রহন করবেন বলেই তাঁদের কাছে দেশের সংখ্যালঘু সমাজের প্রত্যাশা, আর দেশে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে গেলে এটাও করতে হবে। বক্তারা বলেন যে জজ্ সাহাবুদ্দীন কমিশন সরকারের কাছে সরাসরি বিচারযোগ্য কয়েক হাজার সংখ্যালঘু নির্যাতকের যে তালিকা ২০১১ সালে জমা দিয়েছিলেন তাদের বিচার অবিলম্বে শুরু করা হোক। দেশের ছাত্র নেতাদের অনুকরণে সংগঠনের সভাপতি ভজন সরকার ও সাধারণ সম্পাদক আগামী চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে দেশে অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস ও সেনাবহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ্জমান সাহেবের কাছে দাবি জানান। তাঁরা বলেন যদি এই দাবি পুরণ না করা হয তা’হলে তাঁরা বৃহত্তর অন্দোলনের ডাক দেবেন, যেমনটা করেছিলেন ২০২১ সালের পুজোর সময়কার নির্যাতন কালে, আর তাতে যদি দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এর দায় বহন করতে হবে সরকারকে।