শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত শিক্ষবিদদের সংগঠন 'বাংলাদেশী অরিজিন একাডেমিক্স ওয়ার্ল্ডওয়াইড'। গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত গবেষক ও শিক্ষাবিদদের পক্ষ থেকে নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। যারা বাংলাদেশের জাতীয় মুক্তি ও গণতন্ত্রের জন্য তরুণদের সাহসী আন্দোলন এবং সাধারণ জনগণের প্রতিবাদ দ্বারা এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন। অভিজ্ঞ এবং উদীয়মান নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত এই নতুন সরকারের নেতৃত্বে দেশের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হবে বলে আমরা আশা করি। ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশের সাহসী তরুণ প্রজন্মের এই অপরিসীম আত্মত্যাগের কথা আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।
শিক্ষাবিদরা বলেন, জাতির প্রতি তাদের এই দৃঢ় প্রতিশ্রুতি আমাদের দেশের শাসনব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণের পথকে আরও প্রশস্ত করেছে। তাদের স্বপ্ন ও আদর্শকে সম্মানিত করার জন্য আমাদের সম্মিলিত প্রত্যাশা যে, নতুন সরকার সেই আদর্শকে বাস্তবায়িত করবে।
এতে আরও বলা হয়- গবেষক এবং শিক্ষাবিদ হিসেবে আমরা আশা করি যে, আপনারা (উপদেষ্টাবৃন্দ) স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, এবং অন্তর্ভুক্তি বজায় রেখে সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবেন। আমরা বিশ্বাস করি যে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার অবশ্যই সঠিক পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সুসংহত করতে প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলি বাস্তবায়ন করবে। বিবৃতিতে বলা হয়- আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দিয়ে সরকারকে সহায়তা করতে প্রস্তুত, যাতে আমাদের প্রিয় দেশের জন্য উন্নত এবং সুশাসনের পথ সুগম হয়। শিক্ষা, উদ্ভাবন, এবং সততার ভিত্তিতে একটি নতুন বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে আমরা সকলেই একত্রিতভাবে কাজ করতে চাই। আরও একবার, নতুন সরকারের প্রতি অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা। আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হবে—এমন প্রত্যাশা নিয়ে আমরা অপেক্ষায় রইলাম।
বিবৃতিতে ১৫টি দেশ থেকে সর্বমোট ১০৪ জন শিক্ষক এবং গবেষকরা স্বাক্ষর করেছেন। তাদের মধ্যে জাপান থেকে ২৮ জন, অস্ট্রেলিয়া থেকে ১৭ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ১৬ জন, দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৫ জন, মালয়েশিয়ায় ১৩ জন, যুক্তরাজ্যে ৩ জন, চীনের হংকং থেকে ২ জন, নরওয়ে থেকে ২ জন, সুইডেন, সৌদি আরব, কানাডা, ইন্দোনেশিয়া, নেদারল্যান্ড, তুরস্ক এবং কাতার থেকে ১ জন করে রয়েছেন।