প্রবাসীদের কথা শুনতে গণ শুনানি করবে কুয়েত দূতাবাস

ডেস্ক রিপোর্ট
  ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪:২৮

আরব উপদ্বীপের দেশ কুয়েতে প্রবাসীদের অভিযোগ, পরামর্শ বা যে কোনো মতামত জানতে গণশুনানির আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দূতাবাস।  প্রতি মাসের দ্বিতীয় রোববার দেশটির মিসিলায় দূতাবাসে সেবা নিতে আসা প্রবাসীদের উপস্থিতিতে এ গণশুনানি হবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত সৈয়দ তারেক হোসেন। 
৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দূতাবাসে প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন তিনি। এতে 'সেবার মান বাড়াতে' দূতাবাসের নেওয়া নানা উদ্যোগ সামনে আসে। 
গত জুলাই মাসের শুরুতে দায়িত্ব নেওয়া রাষ্ট্রদূত বলেন, "দূতাবাসে একটি অভিযোগ বাক্স স্থাপন করা হয়েছে। কনস্যুলার সেবা নিতে আসা প্রবাসীরা তাদের অভিযোগ ও পরামর্শ এ বাক্সে জমা দিতে পারেন।" 
দূতাবাসের সেবার মান উন্নত ও সহজ করতে ৯টি হটলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, "এসব নম্বরে ফোন করে প্রবাসীরা বিভিন্ন কনস্যুলার সেবা সম্পর্কে জানার সুযোগ রয়েছে। কখনো প্রবাসীদের বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে কিংবা কেউ মারা গেলে দূতাবাস তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে, যদি হটলাইন নম্বরে জানানো হয়।" 
রাষ্ট্রদূত বলেন, "নতুন মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) বা ই-পাসপোর্ট গ্রহীতাদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে দূতাবাসের অফিশিয়াল ফেইসবুক পেইজে নতুন পাসপোর্টের তালিকাগুলো বিজ্ঞপ্তি আকারে দেওয়া হয়। এতে করে প্রবাসীরা ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো মাধ্যমে অনুসন্ধান না করে দ্রুত সময়ের মধ্যে জেনে নিতে পারছেন তাদের পাসপোর্ট তৈরির বার্তাটি।" 
কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রায় ৫ শতাধিক বাংলাদেশি রয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, "কুয়েতের সব কারাগারে যেসব বাংলাদেশিরা রয়েছেন, প্রতি মাসে তাদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং আইনি সহায়তাও দিয়ে যাচ্ছে দূতাবাস।" 
কুয়েতে বিভিন্ন কারণে প্রতি মাসে গড়ে ১৩ থেকে ১৪ জন প্রবাসী মারা যাচ্ছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, "মারা যাওয়া প্রবাসীদের লাশ কুয়েতি স্পন্সর কফিল দেশে পাঠিয়ে থাকেন। যদি সেক্ষেত্রে মারা যাওয়া প্রবাসীর কফিলকে না পাওয়া যায় বা কোনো প্রবাসী আকামাহীন অবস্থায় মারা যান, তাহলে শুধু ওইসব প্রবাসীদের লাশ স্থানীয় প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করে দেশে পাঠানোর সম্পূর্ণ খরচ দূতাবাস বহন করবে।" 
৫ অগাস্ট পরবর্তী সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর প্রবাসী বাংলাদেশিদের বৈধপথে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে উদ্বুদ্ধ করতেও কাজ করছে দূতাবাস। এছাড়া কুয়েতের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসাবাণিজ্য বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। 
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, সাংবাদিকদের মধ্যে মঈন উদ্দিন সরকার সুমন,আ হ জুবেদ, আল-আমিন রানা, সাদেক রিপন, মোহাম্মদ হেবজু মিয়া ও মহসিন পারভেজ প্রমুখ।