মাহমুদুর রহমানকে আজই মুক্তি না দিলে সরকার ‘সরি বলার সময় পাবে না’

পিনাকী
ডেস্ক রিপোর্ট
  ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩:৫০
আপডেট  : ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:৩১

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) মাহবুবুল হক রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে এ আদেশ দেন। এরপরই এ নিয়ে শুরু হয় অন্তর্বর্তী সরকার ও আদালতের সমালোচনা।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে মাহমুদুর রহমানকে মুক্তির দাবি জানিয়ে পোস্ট দিয়েছেন সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ও লেখক পিনাকী ভট্টাচার্য।


পোস্টে তিনি আজই মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবিতে সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন। তা না-হলে সরকার দুঃখ প্রকাশ করারও সময় পাবে না বলে জানান তিনি।
ইত্তেফাকের পাঠকদের জন্য পিনাকী ভট্টাচার্যের পোস্ট হুবহু তুলে ধরা হলো, ‘মাহমুদ ভাইরে যদি আইজক্যা মুক্তি দেয়া না হয় তাইলে কলে আমি ধর্মু প্রফেসর ইউনুসের সরকাররে। এক্কেরে গণশত্রু বানায়ে দিবো। কোন মাফ নাই। সরি কওয়ার টাইম পাইবেন না উনারা। মাহমুদ ভাইয়ের সাথে টাল্টিবাল্টি যেই কর্বে তারে আমি জয় বাংলা করে দিবো। প্রমিজ।’
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
এই মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমান ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের সাজা স্থগিত করা হয়।
সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন থানায় মামলা করেন।
এদিকে, সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত সাংবাদিক শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেন আদালত। এদিন ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালতে এ মামলায় সাজার বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের শর্তে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। শুনানি শেষে বিচারক শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেন। একইসঙ্গে সাজা পরোয়ানা রিকল করেছেন।