জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। যা সারাবিশ্বে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। ব্যবহারকারীদের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ বিভিন্ন ফিচার যুক্ত করে নিয়মিত। যা ব্যবহারকারীদের হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও ভালো করে।
আবার ব্যবহারকারীদের হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার নিরাপদ করতেই অনেক সময় কঠোর হয় প্ল্যাটফর্মটি। মাঝে মাঝেই শোনা যায় বিভিন্ন ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে। এরমধ্যে বিভিন্ন সংস্থার অ্যান্ড্রয়েড ফোন তো থাকেই, সঙ্গে আইফোনও বাদ যায় না।
মূলত অ্যান্ড্রয়েড বা আইফোনের যেসব ডিভাইসে পুরোনো অপারেটিং সিস্টেম চালু রয়েছে সেগুলোতে মেটার মালিকানাধীন এ অ্যাপটি বন্ধ করা হচ্ছে। এতে ব্যবহারকারীদের চ্যাট আরও বেশি সুরক্ষিত করা সম্ভব বলেই মনে করছে তারা। পুরোনো ফোন আপডেট না থাকার কারণে হ্যাকারের টার্গেটে থাকে। ফলে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের নিরাপত্তা কমতে পারে বলেই মনে করে সংস্থা।
এছাড়া প্ল্যাটফর্মটি উন্নত এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন, ভিডিও কলিং এবং উন্নত ইউজার ইন্টারফেসের মতো আধুনিক ফিচার চালু করছে, যা পুরোনো ভার্সন সাপোর্ট করতে পারবে না। আপনার স্মার্টফোন এই তালিকায় থাকলে কী করবেন?
আইওএস আপডেট করুন
যদি আইফোন ৬এস, ৬এস প্লাস, অথবা এসই (ফার্স্ট জেনারেশন) থাকে, তাহলে সেটিংস > জেনারেল > সফটওয়্যার আপডেটে নেভিগেট করে আইওএস ১৫.৮.৪ আপডেট করে নেওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে ডিভাইস হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকবে।
অ্যান্ড্রয়েড আপগ্রেড করুন
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার চালিয়ে যেতে অ্যান্ড্রয়েড ৫.১ বা তার পরবর্তী ভার্সন আছে এমন স্মার্টফোন কিন। অথবা ফোনটিকে আপডেট করুন।
চ্যাটের ব্যাকআপ নিয়ে রাখুন
অ্যাক্সেস হারানোর আগে ডাটা হারানো এড়াতে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ব্যাকআপ নেওয়া দরকার। আইফোনে আইক্লাউড ব্যবহার করতে হবে; অ্যান্ড্রয়েডে গুগল ড্রাইভ ব্যবহার করতে হবে। চ্যাট নিরাপদে সেভ করতে হোয়াটসঅ্যাপ থেকে সেটিংস > চ্যাট > চ্যাট ব্যাকআপে যেতে হবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া