ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে রেকর্ড ৫৯৩ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) পুলিশ প্রশিক্ষণ বিষয়ক সংস্থা কলেজ অব পুলিশের প্রকাশিত তথ্যে এ কথা জানানো হয়েছে। গত বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়ে এই বরখাস্তের ঘটনাগুলো ঘটেছে। সম্প্রতি ব্রিটিশ পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে একাধিক কেলেঙ্কারির খবর সামনে আসার পর জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের ৪৩টি পুলিশ বাহিনীর মধ্যে বরখাস্তের হার গত বছরের তুলনায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে ৭৪ জনের বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণ এবং অন্যান্য অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ১৮ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ প্রমাণিত হয়েছে।
তবে অধিকাংশ বরখাস্তের কারণ ছিল অসততা ও বৈষম্যমূলক আচরণ। উল্লেখিত সময়ের মধ্যে ১২৫ জন অসততা ও ৭১ জনকে বৈষম্যমূলক আচরণের কারণে বরখাস্ত হয়েছেন।
কেলেঙ্কারির কারণে জনআস্থা কমে যাওয়ায় ব্রিটিশ পুলিশ বাহিনী এখন নিজেদের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২১ সালে ৩৩ বছর বয়সী মার্কেটিং নির্বাহী সারা এভারার্ডকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তা ওয়েইন কাউজেনসের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে পুলিশ বাহিনী।
এছাড়া, গত বছর আরেক মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্মকর্তা ডেভিড ক্যারিকের বিরুদ্ধে ১২ জন নারীর সঙ্গে ধর্ষণসহ যৌন অপরাধে যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় তাকে কমপক্ষে ৩০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
কলেজ অব পুলিশের অপারেশনাল স্ট্যান্ডার্ডস বিভাগের পরিচালক, সহকারী প্রধান কনস্টেবল টম হার্ডিং বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের আচরণকে ‘গভীরভাবে হতাশাজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি, তিনি বলেছেন, এই পরিসংখ্যান দেখায় যে, আমরা প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এসব কর্মকর্তা ভবিষ্যতে আর পুলিশ বাহিনীতে ফিরে আসতে পারবেন না।”
হার্ডিং আরও বলেন, এই পরিসংখ্যান প্রমাণ করে, আমাদের পুলিশ বাহিনীর মান বজায় রাখতে ব্যর্থ হওয়া ব্যক্তিদের জন্য লুকানোর কোনো সুযোগ নেই।