ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে বহু বছর পর জম্মু-কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে আবারও বাংকার নির্মাণের দাবি জোরালো হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি পাকিস্তানের ব্যাপক গোলাবর্ষণে প্রাণহানি ও অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির পর এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ।
বুধবার (১৪ মে) বারামুলা জেলার উরি সফরের সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, অনেক বছর ধরে আমরা বাংকারের প্রয়োজন অনুভব করিনি। এখন মানুষ ব্যক্তিগত বাংকার চাচ্ছেন, শুধু কমিউনিটি বাংকার নয়। পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেকটি এলাকায় আমরা বাংকার নির্মাণ করব।
তিনি আরও বলেন, উরি, তাংধার, রাজৌরি ও পুঞ্চ- সব জায়গায় একই রকম পরিস্থিতি। দুই থেকে তিন দিন ধরে আমাদের বেসামরিক এলাকাগুলোতে হামলা হয়েছে। এমনকি, মনে হচ্ছে হামলার উদ্দেশ্য ছিল, বেশি সংখ্যক নিরীহ মানুষ আক্রান্ত হয়। এখন যুদ্ধবিরতি চলছে, সীমান্তে শান্তি ফিরে এসেছে। আমরা ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন করছি ও সেই ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যসচিব অতল দুল্লু জানান, গোলাবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদান ও নতুন বাংকার নির্মাণে প্রশাসন কাজ করছে। অনেক মানুষ আহত হয়েছেন, অনেক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা তাদের জন্য আরও বাংকার নির্মাণ করব।
সাম্প্রতিক উত্তেজনা শুরু হয় ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুরের’ প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের গোলাবর্ষণের মধ্য দিয়ে। ৭ মে চালানো এই অপারেশনটি ২২ এপ্রিল ভারত শাসিত কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহতের প্রতিশোধ হিসেবে চালানো হয়। ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এর জবাবে পাকিস্তান সীমান্তবর্তী বেসামরিক এলাকাগুলোতে গোলাবর্ষণ করে। পরবর্তীতে ১০ মে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসে।
জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ বলেন, আমি প্রথম দিন থেকেই বলে এসেছি, এই যুদ্ধ আমরা শুরু করিনি। আমাদের নিরীহ জনগণের ওপর হামলা হয়েছে পহেলগামে। ওদিক থেকে যদি গুলি না চলে, আমাদের দিক থেকেও গুলি চলবে না।
সূত্র: এএনআই