আফগানিস্তানে দেশি ও বিদেশি বেসরকারি সংস্থায় (এনজিও) আর কাজ করতে পারবেন না নারীরা। দেশটির তালেবান সরকার গতকাল শনিবার এই নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশনা দিয়ে আফগানিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি ইস্যু করেছে। খবর রয়টার্সের।
এ প্রসঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল রহমান হাবিব বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নারীরা এনজিওতে কাজ করতে পারবেন না। কারণ, অনেক নারী ইসলামি পোশাকরীতি মেনে কর্মক্ষেত্রে আসছিলেন না।
তালেবান সরকারের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন আফগানিস্তানে জাতিসংঘের উপবিশেষ প্রতিনিধি রমিজ আলাকবারভ। তিনি বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয়ের যে চিঠি তা গভীর উদ্বেগের। এটি সুস্পষ্ট ‘মানবিক নীতির লঙ্ঘন’।
সরকারের এই সিদ্ধান্ত জাতিসংঘের মতো সংস্থার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়। সংস্থাটি আফগানিস্তানে মানবিক সংকট মোকাবিলায় বিস্তৃত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ ছাড়া সংস্থাটিতে অনেক নারী প্রতিনিধি রয়েছেন। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা সরকারের এই চিঠির ব্যাখ্যা জানার চেষ্টা করছে।
এদিকে তালবান সরকার ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের মধ্যে সম্প্রতি সংলাপের আয়োজন করেছিল নরওয়ের সার্জ ডি–অ্যাফেয়ার্স পল ক্লোউম্যান। গতকাল তালেবানের এই চিঠির খবর প্রকাশের পর তিনি বলেন, এনজিওতে নারীদের কাজ করার ব্যাপারে তালেবান যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তা অবশ্যই অতিসত্বর বাতিল করতে হবে।
গত বছরের আগস্টে ক্ষমতা দখলের পর নারী অধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তালেবান। তবে এরপরই নারীদের অধিকার খর্ব করতে একের পর এক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়েছে তালেবান। সরকারের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করছে আন্তর্জাতিক মহল।