জার্মানিতে শিগগির আস্থাভোট চান বিরোধীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩:৫১

প্রধান বিরোধী দল সিডিইউ-এর নেতা ফ্রিডরিখ মেরজের সঙ্গে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের বৈঠক হয়েছে। শলৎস এই আলোচনা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই আলোচনা সফল হয়নি। তারপর মেরজ জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ারের সঙ্গে দেখা করেন। তাদের মধ্যে একঘণ্টা ধরে কথা হয়।
মনে করা হচ্ছে, স্টাইনমায়ারের সঙ্গে মেরজের আলোচনার প্রধান বিষয় ছিল দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। আরেক বিরোধী দল এএফডি-ও অবিলম্বে নির্বাচন চেয়েছে।
তবে তাদের মধ্যে কী কথা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিতভাবে কিছু জানা যায়নি।
প্রেসিডেন্ট স্টাইনমায়ার এফডিপি-র তিন মন্ত্রীকে ডিসচার্জ সার্টিফিকেট দিয়ে দিয়েছেন। একদিন আগেই চ্যান্সেলর শলৎস এফডিপি নেতা ও অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনারকে বরখাস্ত করেন। তারপর এফডিপি-র দুই মন্ত্রী পদত্যাগ করেন।
পরিবহনমন্ত্রী ফলকার উইসিংকে এফডিপি-ই পূর্ণ মন্ত্রী করেছিল। তবে তিনি দল ছেড়েছেন। তাকে এখন শলৎস বিচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছেন।
শলৎস এখন ইউরোপীয় নেতাদের শীর্ষবৈঠকে যোগ দিতে বুদাপেস্টে গেছেন। তার সফরসঙ্গী ডিডাব্লিউর রাজনৈতিক সংবাদদাতা ম্যাথিই মুর জানিয়েছেন, চ্যান্সেলর শলৎসকে অনেকটাই ভারমুক্ত লাগছে। তবে এখন তার কর্তৃত্ব কতটা থাকবে, তা নিয়ে একটা বড় প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে।
এসপিডি নেতা ওলাফ শলৎস এফডিপি নেতা লিন্ডনারকে বরখাস্ত করার পর পার্লামেন্টে আইন পাস করার গরিষ্ঠতাও হারিয়েছেন। শলৎস মার্চের শেষের দিকে নির্বাচন চাইছেন।
কিন্তু স্থায়িত্বের প্রশ্ন তুলে বিরোধী নেতা মেরজ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন চান। জানা গেছে, মেরজ শলৎসকে বলেছেন, এই অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও তার সঙ্গে বৈঠক করবেন না।
কিন্তু শলৎস অবিলম্বে নির্বাচন চাইছেন না। তিনি একটু সময় নিয়ে তার দলকে সংগঠিত করে নির্বাচনে যেতে চান।
সংবাদসংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস আগামী বুধবার বুন্ডেস্টাগে তার পরিকল্পনার কথা জানাবেন।
ক্ষমতাসীন জোটে ভাঙন ও অর্থমন্ত্রী লিন্ডনারকে বরখাস্ত করার পর এটাই হবে জার্মানির পার্লামেন্টে শলৎসের প্রথম বিবৃতি।
শলৎস জানিয়েছেন, তিনি জানুয়ারিতে আস্থাভোট নিতে চান।
জার্মানির ভোটদাতারা অবিলম্বে নির্বাচন চান বলে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা থেকে জানা গেছে।
জার্মানির সরকারি ব্রডকাস্টার এএফডি এই সমীক্ষা করেছিল। তাতে দেখা গেছে, ৬৫ শতাংশ মানুষ অবিলম্বে নির্বাচনের পক্ষে। তত শতাংশ মনে করছেন, নির্বাচন মার্চে হোক।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, সিডিইউ-কে ৩৪ শতাংশ ভোটদাতা পছন্দ করছেন। দ্বিতীয় স্থানে আছে অতি-ডানপন্থি এএফডি। তাদের পছন্দ করছেন ১৮ শতাংশ ভোটদাতা। একটু পিছনে আছে এসপিডি, তাদের ১৬ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে পারেন। গ্রিন ও এফডিপি দুজনেরই জনপ্রিয়তা কমেছে। গ্রিনের সমর্থন তিন শতাংশ কম হয়ে ১২ শতাংশে নামতে পারে। আর এফডিপি ১১ শতাংশ থেকে কমে পাঁচ শতাংশ সমর্থন পেতে পারে।