ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেছেন, ঝাড়খণ্ডে বিজেপি ক্ষমতায় এলে প্রত্যেক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে বের করে দেওয়া হবে। এছাড়া যেসব অনুপ্রবেশকারী ঝাড়খণ্ডের স্থানীয় নারীদের বিয়ে করেছেন, তাদের সন্তানদের আদিবাসী অধিকার দেওয়া হবে না।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, শনিবার (৯ নভেম্বর) ঝাড়খণ্ডের পালামৌতে এক জনসভার ভাষণ দেন জেপি নাড্ডা। সেখানেই তিনি এসব মন্তব্য করেন।
কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক বাংলাদেশি অনুপ্রেবশকারীদের ঝাড়খণ্ড থেকে ‘ঝেঁটিয়ে’ বিদায় করা হবে। তারা আমাদের স্থানীয় আদিবাসী বোনদের বিয়ে করে আদিবাসী জমির অধিকার পেতে চায়। তাদের সে ইচ্ছা পূরণ হবে না। তাদের কখনোই আদিবাসী অধিকার দেওয়া হবে না। এমনকি তাদের সন্তাদেরও আদিবাসী অধিকার দেওয়া হবে না।
এসময় জেপি নাড্ডা ঝাড়খণ্ডে বাংলাদেশিদের অবৈধ অনুপ্রবেশের পেছনে ক্ষমতাসীন জনমুক্তি মোর্চা ও কংগ্রেসের জোট সরকার দায়ী বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, কংগ্রেস ও জনমুক্তি মোর্চার ইন্ধনে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বেড়েছে। বিজেপি ঝাড়খণ্ডে ক্ষমতায় এলে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
জেএমএম-কংগ্রেস জোট সরকারকে প্রতারক, মিথ্যাবাদী ও চোরদের সরকার আখ্যা দিয়ে জেপি নাড্ডা বলেন, বেকার ভাতা, সরকারি চাকরি ও নারীর অগ্রগতির জন্য আর্থিক সাহায্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে এই সরকার।
এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন। গত সেপ্টেম্বরে ঝাঢ়খণ্ডে এক নির্বাচনি জনসভায় অমিত শাহ বলেছিলেন, ঝাড়খন্ড রাজ্যে বিজেপি সরকার গড়তে পারলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা হবে।
এদিকে, ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে অংশ নিতে প্রথমবারের মতো গত সোমবার ঝাড়খণ্ডে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জনসমাবেশে তিনি রাজ্যে ক্ষমতাসীন জোটকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জন্য ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস আর আরজেডি দায়ী। তারা তোষামুদে রাজনীতিকে চরম পর্যায়ে নিয়ে গেছে। নির্বাচনে ভোট পাওয়ার জন্য তারা বাংলাদেশিদের ঢোকার সুযোগ করে দিয়েছে।
ঝাড়খণ্ডের ৮১ আসনের বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে ১৩ ও ২০ নভেম্বর। ভোট গণনা হবে ২৩ নভেম্বর। এবার নির্বাচনের আগে রাজ্যের রাজনীতিতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয় নিয়ে ব্যাপক উত্তাপ ছড়িয়েছে।