জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইউরোপে শান্তিতে ফিরিয়ে আনতে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন তারা। জার্মান সরকারের এক মুখপাত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শোলজের মুখপাত্র স্টিফেন হেবেস্ট্রিট রোববার এক বিবৃতিতে বলেছেন, জার্মানি এবং আমেরিকার সম্পর্ক এবং বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে মতবিনিময় করেছেন তারা।
উভয় দেশের সরকারের মধ্যে কয়েক দশক ধরে চলা সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে সরকারের ইচ্ছার কথা তুলে ধরেন জার্মান চ্যান্সেলর। তারা ইউরোপে শান্তি ফিরিয়ে আনতে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়েও সম্মত হয়েছেন।
হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধকে কীভাবে প্রভাবিত করতে পারে সে বিষয়টি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ইউরোপ।
এর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে আলাপ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ফ্লোরিডা থেকে পুতিনকে ফোন করেছিলেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার মাত্র একদিন পরই এই ফোনালাপ হয়। তবে এ নিয়ে ট্রাম্পের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ফোনালাপ সম্পর্কে অবগত কয়েকজন ব্যক্তি ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানান, ফোনালাপে ট্রাম্প পুতিনকে ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল সামরিক উপস্থিতির কথা মনে করিয়ে দেন। পাশপাশি তিনি শিগগিরই ইউক্রেনের যুদ্ধের সমাধান নিয়ে আরও আলোচনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ধারণা করা হচ্ছে, ফোনালাপটি সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এসে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো- তিনি যদি প্রেসিডেন্ট হন, তাহলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধ থামিয়ে দেবেন।
বুধবার ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপে যোগ দেন। সেখানে ইলন মাস্কও ছিলেন, যা নিয়ে অনেক আলোচনার সৃষ্টি হয়।
রুশ সরকার ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ট্রাম্প সংঘাত নয়, শান্তি নিয়ে কথা বলছেন, যা রাশিয়ার জন্য ইতিবাচক।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প সম্ভবত ইউক্রেনকে সহায়তা বন্ধ করে দেবেন। ট্রাম্প পুতিনের সঙ্গে এমন একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেন, যা জেলেনস্কিকে অনেক কিছু স্বীকার করে নিতে বাধ্য করতে পারে। ইউক্রেন যুদ্ধের দ্রুত সমাধানে রাশিয়ার দখলকৃত ভূখণ্ড নিয়ে কোনো চুক্তি হতে পারে, বিশেষত ক্রিমিয়া ফিরে পাওয়ার আশা এখন আর নেই।