সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। সেসময় ইরানি জনগণকে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করে তাদের সাফল্য কামনা করেছেন সৌদি যুবরাজ। আলাপকালে গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসনের শেষ করার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। রোববার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দুই নেতার মধ্যে এ ফোনালাপ হয়।
লেবাননের সম্প্রচারমাধ্যম আল-মায়েদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ও সৌদি আরবরে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান রোববার সন্ধ্যায় টেলিফোনে কথা বলেছেন। এ সময় তারা দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক পর্যালোচনার পাশাপাশি তেহরান ও রিয়াদের মধ্যে ভবিষ্যত সহযোগিতা প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যস্ত থাকায় আসন্ন আরব লীগ ও ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) যৌথ সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে পারছেন না পেজেশকিয়ান। ওই সম্মেলনে ইরানের প্রতিনিধি হিসেবে ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজা আরেফ অংশ নেবেন।
পেজেশকিয়ান আশাবাদ ব্যক্ত করেন, সৌদি যুবরাজের নেতৃত্বে এই যৌথ এই সম্মেলন ইহুদি জাতীয়তাবাদী সরকারের অপরাধ, গাজা ও লেবাননে যুদ্ধ ও রক্তপাত বন্ধে কার্যকর, বাস্তবসম্মত ফলাফল বয়ে আনবে। উভয় দেশ তাদের সম্পর্ক আরও জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জানিয়ে এই সম্পর্কের ধারাবাহিক অগ্রগতি কামনা করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট।
জবাবে মোহাম্মদ বিন সালমান ফোন করায় ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তিনি আপনার অনুপস্থিতির বিষয়টি বুঝতে পারছি ও ‘ইরানি ভাইদের’ সফলতা কামনা করছি।
মোহাম্মদ বিন সালমান ইরান-সৌদি আরব সম্পর্কের বর্তমান মুহূর্তকে ‘ঐতিহাসিক বাঁক বদল’ বলে অভিহিত করেছেন ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। ফোনালাপে তিনি ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নিয়ে আলোচনার পরিকল্পনা নিশ্চিত করেন ও পেজেশকিয়ানকে সৌদি আরব সফরের জন্য পুনরায় আমন্ত্রণ জানান।
টেলিফোন আলাপে ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান সৌদি আরবের যুবরাজকে ইরান সফরের আমন্ত্রণ জানান। জবাবে মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান সফর হবে তার জন্য ‘গর্বের’ বিষয়।
এদিকে, আরব ও মুসলিম কর্মকর্তারা সোমবার (১১ নভেম্বর) থেকে সৌদি আরবে পৌঁছাতে শুরু করেছেন। আরব দেশগুলোর জোট আরব লীগ ও বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর জোট ইসলামি সম্মেলন সংস্থা বা ওআইসির যৌথ এই সম্মেলনে গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম সৌদি প্রেস এজেন্সি।