আগামী ১৩ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের ৬ কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। এই উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজ্যের রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে। এদিকে বাংলাদেশের ঘটনা টেনে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূল মন্তব্য করার অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
নির্বাচন কমিশনের আদর্শ আচরণবিধি মানা হচ্ছে না। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুনাল ঘোষ অভিযোগ করেছেন যে, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত ও প্ররোচণামূলক বক্তব্য রেখেছেন বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
তৃণমূল কংগ্রেসের মিডিয়া কমিটির সদস্য কুনাল ঘোষ, রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা ও জয়প্রকাশ মজুমদার সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে গণমাধ্যম কর্মীদের মুখোমুখি হন। সে সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। এর অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আমাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার কথা বলা যায় না। সেখানে কি হয়েছে, তার নির্দিষ্ট তথ্য আমাদের কাছে নেই। কিন্তু উনি বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ সম্পর্কে অত্যন্ত উত্তেজনামূলক বক্তব্য রেখে সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ, মেরুকরণ, প্রতিহিংসা ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করেছে। বিজেপির এই ভেদাভেদের সংস্কৃতি চলতে দেওয়া যায় না। উপনির্বাচনে হার নিশ্চিত বুঝে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে।
কুনাল ঘোষ আরও বলেন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা একটি ছবি দেখিয়ে বলেন,এই ছবি দেখেছেন? ওই টাইলস ভাঙ্গা হচ্ছে। আমরা স্মারকলিপির সঙ্গে ওই বক্তব্য পেনড্রাইভে করে নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দিয়েছি। এটা শুধু নির্বাচন বলে নয়, ধর্মীয় ভাবাবেককে হিংসায় পরিণত করার চেষ্টা করা হয়েছে ওই ৪০ মিনিটের ভাষণে। এটা সমাজের পক্ষে ক্ষতিকারক। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন ও রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তার কাছে আমরা সেন্সর করার দাবি জানিয়েছি।
তিনি বলেন, আমাদের প্রচারণা আজ শেষ হচ্ছে। কিন্তু এই ভাষণের প্রভাব নির্বাচন বা উপনির্বাচনে সীমাবদ্ধ থাকছে না। এর প্রভাব আরও পড়বে। সম্ভাব্য যাবতীয় আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেন। তার আগে অবিলম্বে সেন্সর করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের কড়া বার্তা দিতে হবে হেট স্পিচ নিয়ে। এটা বিজেপির সংস্কৃতি।
পশ্চিমবঙ্গের ৬ কেন্দ্রে উপনির্বাচন উপলক্ষ্যে গত (৯ নভেম্বর) তালড্যাংরায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে একটি সভা করেন তিনি। ওই সভা থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কিছু মন্তব্যে আপত্তি তোলেন তৃণমূল কংগ্রেস। এসব মন্তব্যের ভিত্তিতেই কমিশনের কাছে চিঠি লিখে অভিযোগ জানান তৃণমূল কংগ্রেস।