পাকিস্তানে পোলিও রোগীর সংখ্যা বাড়ায় আন্তর্জাতিক মহলে গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সূত্রের বরাতে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এরই মধ্যে পাকিস্তানকে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
এ বিষয়ে পাকিস্তান সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। সূত্রমতে, এই সংস্থাগুলোর একটি প্রতিনিধি দল চলতি মাসের শেষের দিকে পাকিস্তান সফর করতে পারে।
ইসলামাবাদের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের পোলিও নির্মূল সম্পর্কিত আঞ্চলিক রেফারেন্স ল্যাবরেটরি সম্প্রতি পাকিস্তানে ৪৮তম ওয়াইল্ড পোলিওভাইরাস টাইপ-১ (ডব্লিউপিভি১) শনাক্ত করেছে। গত ৮ নভেম্বর ডেরা ইসমাইল খান (ডিআই খান) জেলায় এক শিশুর শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত করা হয়। প্রসঙ্গত, ডিআই খান দক্ষিণ খাইবার পাখতুনখোয়ার একটি পোলিও-প্রবণ জেলা।
এ নিয়ে ডিআই খান থেকে এ বছর তৃতীয় এবং সারাদেশে মোট ৪৮তম পোলিও রোগী শনাক্ত হলো। আক্রান্তদের মধ্যে ২৩ জন বেলুচিস্তানে, ১৩ জন সিন্ধুতে, ১০ জন খাইবার পাখতুনখোয়ায় এবং পাঞ্জাব ও ইসলামাবাদ থেকে একজন করে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে, অরকজাই জেলার আপার অরকজাই এলাকায় সম্প্রতি পোলিও টিকাদান দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় দুই পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দাবোরি বাদান কলাই এলাকায় টিকাদান দলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এসময় পাল্টা গুলিবর্ষণে তিন সন্ত্রাসীও নিহত হয়।
অন্যদিকে, কোহাটের দররেওয়াল বান্দায় আরেকটি টিকাদান দলের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। তবে সেখানে পুলিশ সদস্য এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা অক্ষত ছিলেন। পুলিশের পাল্টা হামলায় হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
পাকিস্তানে পোলিও রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি এবং টিকাদান দলের ওপর ধারাবাহিক হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো দ্রুত এবং সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রাদুর্ভাব রোধ করা যায় এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।