হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের আকাশে গত কয়েকদিনে তিনটি যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক এয়ারলাইনসের প্লেন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এর জেরে হাইতি চলাচলকারী সবগুলো ফ্লাইট এক মাসের জন্য স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)। এই ঘটনায় গুলি চালানোর জন্য সশস্ত্র গ্যাংদের দায়ী করা হয়েছে।
গত সোমবার স্পিরিট এয়ারলাইনসের একটি প্লেন পোর্ট-অ-প্রিন্সে অবতরণের চেষ্টার সময় গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় একজন ক্রু আঘাতপ্রাপ্ত হন। এরপর জেটব্লু এয়ারলাইন্স জানায়, নিউইয়র্কে প্লেনটি পরীক্ষার সময় গুলির ক্ষত পাওয়া গেছে, যা হাইতি থেকে ফেরত আসার পরপরই ঘটেছিল। এছাড়া আমেরিকান এয়ারলাইনসের একটি প্লেনও গুলিবিদ্ধ হয়েছে। যদিও এতে কোনো যাত্রী বা ক্রু আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
হাইতির কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে পোর্ট-অ-প্রিন্স বিমানবন্দর থেকে এক সপ্তাহের জন্য সব ধরনের ফ্লাইট স্থগিত করেছে। গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের এফএএ হাইতির আকাশে ১০ হাজার ফুটের নিচে সব ধরনের প্লেন চলাচল ৩০ দিনের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। জাতিসংঘও তাদের ফ্লাইট স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে ক্যারিবীয় দেশটিতে মানবিক সহায়তা এবং জরুরি পণ্য পরিবহন বিলম্বিত হচ্ছে।
হাইতির অন্তবর্তীকালীন কাউন্সিল গুলির ঘটনার জন্য সশস্ত্র গ্যাংদের দায়ী করেছে এবং তাদের বিচার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। গ্যাং সহিংসতা এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে হাইতির পরিস্থিতি এক বছর ধরে চরম অস্থিতিশীল। এর আগেও সেখানকার গ্যাংগুলো জাতিসংঘের হেলিকপ্টার এবং মার্কিন দূতাবাসের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল।
স্পিরিট এয়ারলাইনস জানিয়েছে, ফোর্ট লডারডেল থেকে পোর্ট-অ-প্রিন্স যাওয়ার কথা ছিল তাদের ফ্লাইট ৯৫১-এর। পরে সেটি ঘুরিয়ে ডোমিনিকান রিপাবলিকের সান্তিয়াগোতে অবতরণ করানো হয়। পরবর্তীতে সেখানে গুলির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। এর জেরে স্পিরিট তাদের পোর্ট-অ-প্রিন্স এবং ক্যাপ-হাইটিয়েনের ফ্লাইট স্থগিত করেছে।
জেটব্লু এবং আমেরিকান এয়ারলাইনসও তাদের ফ্লাইট স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জেটব্লু জানিয়েছে, আগামী ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের ফ্লাইট স্থগিত থাকবে। আমেরিকান এয়ারলাইনস বলেছে, তারা আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পোর্ট-অ-প্রিন্সের সঙ্গে তাদের নিয়মিত ফ্লাইটগুলো স্থগিত করবে।