ভারতের রাজধানী দিল্লি ও আশপাশের এলাকায় বায়ুদূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
বলা হয়েছে, দিল্লিতে সব ধরনের অপ্রয়োজনীয় নির্মাণ ও ডিমোলিশনের কাজ বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি বাস চলাচলেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে।
এই নিয়মের অধীনে পেট্রোলচালিত বিএস-১১১ ও ডিজেলচালিত বিএস-৪ ক্যাটাগরির বাসগুলোকে দিল্লিসহ আশপাশের এলাকার রাস্তায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বুধবারের মতোই বৃহস্পতিবার সকালেও দিল্লির বাতাসের গুণমান স্কোর ৪০০ ডিঙিয়ে ‘মারাত্মক’ পর্যায়ে পৌঁছায়। ধোঁয়াশার কারণে ব্যাহত বিমান চলাচল। রাজধানীর মতোই ভোর পাঁচটা নাগাদ পাঞ্জাবের অমৃতসর ও পাঠানকোটে দৃশ্যমানতা শূণ্যে পৌঁছায়।
ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দিল্লি, চণ্ডীগড়, গাজিয়াবাদ, নয়ডা, গুরুগ্রাম ও বাদি দূষণে ঢাকা পড়েছে। দিল্লির (৪৩২) মতোই বাতাসের গুণমান কম-বেশি বিপজ্জনক পর্যায় পৌঁছেছে চণ্ডীগড় (৪১৫), গাজিয়াবাদ (৩৭৮), নয়ডা (৩৭২), গুরুগ্রাম (৩২৩) এবং বাদিতে (৩২০)। বায়ুদূষণের এই মাত্রা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
দিল্লির এই পরিস্থিতি অবশ্য হঠাৎ এতটা খারাপ হয়েছে তা নয়। গত মাসের শেষেই দেখা যায় শীতের মৌসুম শুরু হতে না হতেই দিল্লিতে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করেছে।