নেতানিয়াহুর বাড়িতে ফ্ল্যাশ বোমা নিক্ষেপ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২:১৭

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাড়িতে দুটি ফ্ল্যাশ বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সিজারিয়ায় অবস্থিত নেতানিয়াহুর বাড়ির বাগানে ওই ফ্ল্যাশ বোমা ‍দুটি পড়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। খবর রয়টার্সের।
তবে ওই হামলার সময় নেতানিয়াহু বা তার পরিবারের কোনো সদস্য সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। এমনকি এই ঘটনায় কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবরও পাওয়া যায়নি বলে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
রোববার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, এই ঘটনার মাধ্যমে সব রেড লাইন অতিক্রম করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইরান এবং তাদের মিত্রদের দ্বারা ক্রমাগত হুমকির শিকার হচ্ছেন নেতানিয়াহু। তারা তাকে হত্যা করার চেষ্টা করছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি থেকেও একই ধরনের হুমকির সম্মুখীন হতে হবে এটা সম্ভব নয়।
তিনি ইসরায়েলের নিরাপত্তা ও বিচারিক সংস্থাগুলোকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন তিনি। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানান ইসরায়েল কাটজ।
অপরদিকে ইসরায়েলের নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী ইতমার বেনগাভির বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে এ ধরনের উসকানি সব সীমা অতিক্রম করেছে। শনিবার রাতে তার বাড়িতে বোমা নিক্ষেপ আরেকটি সীমা অতিক্রম করেছে।
কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে এর আগে গত অক্টোবরে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাড়িতে ড্রোন হামলা চালিয়েছিল হিজবুল্লাহ। সে সময়ও তেল আবিবের সিজারিয়ায় অবস্থিত তার বাসভবনেই হামলা চালানো হয়। নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকেও নিশ্চিত করা হয়েছিল যে, তেল আবিবের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত তার বাসভবনে হিজবুল্লাহর একটি ড্রোন আঘাত হেনেছে।
এদিকে ইসরায়েলের ৫টি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলের হাইফা শহরের মধ্যে এবং ওই শহরের কাছাকাছি অবস্থিত সামরিক ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ওই শহরের একটি সিনাগগে একটি রকেট হামলায় দুজন আহত হয়েছে।
ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা একটি প্রযুক্তিগত ঘাঁটি, হাইফা নৌ ঘাঁটি, স্টেলা ম্যারিস নৌ ঘাঁটি এবং হাইফার নিকটবর্তী দুটি ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর একটি গ্যাস স্টেশন এবং ক্ষেপণাস্ত্রের গুদাম ছিল। এর আগে লেবানন থেকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় গ্যালিলি এলাকায় প্রায় ২০টির মতো রকেট ছোড়া হয়।