লেবাননে একটি ভবন লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর মুখপাত্র মোহাম্মদ আফিফ নিহত হয়েছেন। রাজধানীর ঘনবসতিপূর্ণ রাস আল-নাবা জেলায় এই হামলায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন বলে রোববার (১৭ নভেম্বর) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলীতে ইসরায়েলের চলমান হামলায় বাস্তুচ্যুত অনেক লেবানিজ ওই এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। যদিও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে ওই এলাকা খালি করার নির্দেশ দেয়নি।
ঘটনাস্থল থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক দরসা জাব্বারি বলেন, স্পষ্টতই, এটি কেবল হিজবুল্লাহর সামরিক শাখা নয়, প্রশাসনিক দিকের কর্মকর্তাদেরও অনুসরণ করার ইসরায়েলি নীতির ধারাবাহিকতা। ইসরায়েল যা করার চেষ্টা করছে তা হল অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সামরিক- সমস্ত ফ্রন্টে হিসবুল্লাহকে দমন করা।
হিজবুল্লাহর শীর্ষ মিডিয়া রিলেশনস অফিসার হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে আফিফ বেশ কয়েক বছর ধরে সংগঠনের আল-মানার টেলিভিশন স্টেশন পরিচালনা করেছিলেন।
কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে বিধ্বস্ত রাজধানীর দক্ষিণ শহরতলির ধ্বংসস্তূপের মধ্যে তিনি বেশ কয়েকটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
১১ নভেম্বর সাংবাদিকদের কাছে সাম্প্রতিকতম মন্তব্যে তিনি বলেছিলেন, ইসরায়েলি সেনারা লেবাননের কোনো অঞ্চল দখল করতে পারেনি এবং হিজবুল্লাহর কাছে 'দীর্ঘ যুদ্ধ' লড়াই করার জন্য পর্যাপ্ত অস্ত্রও সরবরাহ রয়েছে।
সীমান্তে এক বছর ধরে গোলাগুলির পর সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে ইসরায়েল নাটকীয়ভাবে লেবাননজুড়ে হামলা জোরদার করে। এরপর থেকে হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহসহ শীর্ষ নেতাদের ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ডের সর্বশেষ ঘটনা এটি।
গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে দক্ষিণ বৈরুতের দাহিয়েহ এলাকার একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন নাসরুল্লাহ।
সামরিক বিশ্লেষক এলিজাহ ম্যাগনিয়ার আল জাজিরাকে বলেন, আফিফকে হত্যা হিজবুল্লাহর নেতৃত্ব এবং বিশ্বের সাথে যোগাযোগের ক্ষমতাকে কমাতে ইসরায়েলের কৌশলের অংশ। এটি ইসরায়েলের যুদ্ধের বিবরণ মোকাবেলায় হিজবুল্লাহর প্রতিক্রিয়া সমন্বয় করার ক্ষমতাকেও ক্ষুণ্ণ করবে।