দাহ করার জন্য শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যুবকের মরদেহ। আগুন দেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ। তারপরই ঘটে বিপত্তি। মুখাগ্নি করার ঠিক আগ মুহূর্তে নড়ে ওঠেন যুবক। কোনো হরর মুভির দৃশ্য মনে হলেও, ভারতের রাজস্থান রাজ্যের জয়পুর রাজ্যে আসলেই এমন ঘটনা ঘটেছে। এমনকি, গাফিলতির অভিযোগে তিন চিকিৎসককে বহিষ্কার করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
জানা যায়, রোহিতাস কুমার নামের ২৫ বছর বয়সী ওই যুবক বধির ছিল। তিনি হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) তাকে রাজস্থানের ঝুনঝুনর এলাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পরই চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ওই যুবকের খিঁচুনি হয়েছিল। এরপর তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যুবকের স্বজনদের বলা হয়, হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিরূপণে ময়নাতদন্ত করার কথা থাকলেও সেটি করেননি চিকিৎসক। এর বদলে মরদেহটি সরাসরি মর্গে পাঠানো হয়। এরপর সেখান থেকে তার দেহটি দাহ করার জন্য নিয়ে যান তার স্বজনরা।
ওই হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসক ডাক্তার সিং এএফপিকে জানিয়েছেন, ওই সময় যে চিকিৎসকরা দায়িত্ব পালন করছিলেন তারা ময়নাতদন্ত না করেই ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছিলেন ও মরদেহটি দাহ করার জন্য পাঠানো হয়েছিল।
তিনি আরও জানান, ওই যুবক জীবিত আছেন জানার পরপরই স্বজনরা তাকে হাসপাতালে আনেন ও অবিলম্বে তাকে জেলা হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন ও তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের কর্মকর্তারা।
এ ঘটনার পর তিন চিকিৎসক যোগেশ জাখর, নবনীত মীল ও সন্দীপ পাচারকে দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সেই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।