আর মাত্র কয়েক সেকেন্ড পরই পূরণ হত তার স্বপ্ন। পাইলট পদে উন্নীত হতেন তিনি। কিন্তু তার আগেই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। নেপালের পোখারা বিমানবন্দরে বহু যাত্রীর সঙ্গে প্রাণ হারালেন তিনিও।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত প্লেনের কো-পাইলট ছিলেন অঞ্জু খাটিবাডা। ১৬ বছর আগে তার স্বামী দীপক পোখরেলও মারা যান এমন একটি প্লেন দুর্ঘটনায়। তার স্বামীও ইয়েতি এয়ারলাইন্সের কো-পাইলট ছিলেন।
স্বামীর মৃত্যুর পর তার অধরা স্বপ্নকেই নিজের লক্ষ্যে পরিণত করেন অঞ্জু। বদলে ফেলেন জীবনের দিশা। যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে পাইলট হওয়ার প্রশিক্ষণ নেন। ফিরে এসে যোগ দেন ইয়েতি এয়ারলাইন্সে।
গতকাল রোববার ৭২ জন যাত্রী ও ক্রু নিয়ে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের এটিআর-৭২ মডেলের একটি প্লেন অবতরণের কয়েক মিনিট আগে বিধ্বস্ত হয়। সেই সময় প্লেনটিতে আগুন ধরে যায়। দুই ইঞ্জিনের ওই প্লেনটিতে মোট ৬৮ জন যাত্রী ছিলেন, যাদের মধ্যে ১৫ জনই ছিলেন বিদেশি নাগরিক। বাকি চারজন ছিলেন কর্মী। তারা সবাই নিহত হন।
এক বিবৃতিতে নেপালের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গতকাল স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত সংযোগ ছিল প্লেনটির। এরপর এটি বিধ্বস্ত হয়। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার ২৪ বলছে, প্লেনটি ১৫ বছরের পুরনো ছিল।
নেপালে ১৯৯২ সালের পরে এটাই সবচেয়ে বেশি মারাত্মক প্লেন দুর্ঘটনা। এভিয়েশন সেফটি নেটওয়ার্কের তথ্য অনুযায়ী, সেই বছর পাকিস্তানি এয়ারবাস এ-৩০০ কাঠমান্ডুতে অবতরণ করতে গিয়ে একটি পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়।