অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের উপকণ্ঠে একটি সিনাগগের বাইরে বন্দুকধারীর হামলায় কিশোরসহ কমপক্ষে সাতজন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছেন।
পরে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ওই বন্দুকধারীও নিহত হন।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ খবর জানিয়েছে আল-জাজিরা ও রয়টার্স।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) রাতের এই হামলার পর ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড আদম (এমডিএ) জানায়, তারা ১০ জন আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দিচ্ছেন, তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
আহতদের মধ্যে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোর এবং ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ রয়েছেন। এই হামলার ঘটনায় ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছে, রাত সোয়া ৮টার দিকে একটি গাড়ি ওই সিনাগগের সামনে এসে থামে। পরে ওই গাড়ি থেকে একজন বন্দুকধারী বেরিয়ে এসে গুলি ছুড়তে থাকে। এসময় ভুক্তভোগীদের কয়েকজনকে রাস্তায় শুয়ে থাকতে দেখা যায়।
পরে পুলিশের গুলিতে ওই বন্দুকধারীও নিহত হয়। পুলিশের দাবি, হামলাকারী পূর্ব জেরুজালেমেরই বাসিন্দা। তার বয়স ২১ বছর।
এদিকে, গাড়িতে আরও একজন ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে ইসরায়েলের নিরাপত্তাবাহিনী।
ইসরায়েলি পুলিশ একে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে অভিহিত করে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নেভ ইয়াকভের একটি উপাসনালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারী সন্ত্রাসীকে নিষ্ক্রিয় (হত্যা) করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য অবস্থান করছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দখলকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনীর চালানো এক সামরিক অভিযানে বয়স্ক নারীসহ ৯ ফিলিস্তিনি নিহত হন। এর পরদিন জেরুজালেমের উপকণ্ঠে এই প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা ঘটল।
গাজায় হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম গণমাধ্যমকে বলেন, এই হামলাটি জেনিনে দখলদারদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। তবে তিনি এ হামলার দায় স্বীকার করেননি।
অন্যদিকে ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদও এ হামলার প্রশংসা করেছে। তবে তারাও এ হামলার দায় নেয়নি।