চিন্ময়কে মুক্তি না দিলে পেট্রাপোল বন্দরে লাগাতার অবরোধের হুমকি বিজেপির  

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২১:২৯

বুধবার (২৭ নভেম্বর) চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে স্মারকলিপি দিয়ে আসেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির নেতা-কর্মীরা
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার ও জামিন নামঞ্জুরের উত্তাপ লেগেছে কলকাতাতেও। সাবেক এই ইসকন নেতাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে স্মারকলিপি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। সেসময় বিজেপি দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রোববারের (১ ডিসেম্বরের) মধ্যে চিন্ময় দাসকে মুক্তি দেওয়া না হলে, সোমবার থেকে পেট্রাপোল স্থলবন্দরে অবরোধ শুরু করবে বিজেপি।
মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে গণমাধ্যমের সামনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আমাদের প্রত্যেকের সঙ্গে বাংলাদেশের বহু মানুষের আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। আমরা এর আগে মুজিবুর রহমানের আওয়ামী লীগ সরকার দেখেছি, বিএনপি সরকার দেখেছি, এরশাদ সরকার দেখেছি; কিন্তু এরকম ভারতবিদ্বেষী মনোভাব বা হিন্দু প্রচারকদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠানোর নজির দেখিনি।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এনাফ ইজ এনাফ। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই বা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তিনি বাংলাদেশের ‘রাষ্ট্রাবাদী বৈষ্ণব ধর্মালম্বী’ প্রচারক। বাংলাদেশের পতাকা কাঁধে নিয়ে তিনি সেদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে স্লোগান তুলেছিলেন। তাই তাকে যেভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাতে পরিষ্কারভাবে মৌলবাদী ধ্বনি শোনা যাচ্ছে।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি তুলে শুভেন্দু বলেন, রোববারের মধ্যে তাকে মুক্তি না দেওয়া হলে, সোমবার (২ ডিসেম্বর) থেকে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বৃহত্তম স্থলবন্দর পেট্রাপোলে অবরোধ শুরু করবে বিজেপি। ওইদিন সকাল ১০ টা থেকে পেট্রাপোল স্থলবন্দরে ভারত থেকে বাংলাদেশগামী সব পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ করা হবে। আমি নিজে তার নেতৃত্ব দেব। অবশ্য যাত্রীবাহী বাসগুলো এই অবরোধের আওতায় পড়বে না।
পাশাপাশি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ভিসা বন্ধের দাবি তুলে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আগামী দিনে কলকাতার সেক্টর ফাইভে বাংলাদেশ ভিসা সেন্টার গিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হবে। পাশাপাশি এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট পারমিট দেওয়াও বন্ধ করা উচিত।
বিজেপি প্রতিনিধি দলের এই কর্মসূচিকে ঘিরে যাতে কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রেখে আটোসাটো করা হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এছাড়াও এদিন জাতীয় কংগ্ৰেসের পক্ষ থেকেও একটি মশাল মিছিল নিয়ে বাংলাদেশের উপ-দূতাবাসে যাওয়ার কথা রয়েছে। এমনকি, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ পথ অবরোধ করা হয়েছে