তেল উৎপাদনকারী দেশের সংস্থা ওপেক প্লাস ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে তেল উত্তোলন বৃদ্ধির পরিকল্পনা স্থগিত রাখার বিষয়ে আলোচনা করছে। আগামী জানুয়ারিতে উৎপাদন বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা ছিল। বিষয়টি নিয়ে অবগত এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এ তথ্য দিয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সংস্থার সদস্যরা ৫ ডিসেম্বর একটি বৈঠকে মিলিত হবেন। সেখানে উৎপাদনের বিষয়টির পাশাপাশি অন্যান্য ইস্যু নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
এই আলোচনার অন্যতম বিষয় হলো, সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) উৎপাদন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত। জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল এটি, যা চলতি বছরের জুনে অনুমোদিত হয়। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত দুই ব্যক্তি একথা জানিয়েছেন।
বিশ্বের মোট তেল সরবরাহের প্রায় অর্ধেক উৎপাদন করে এমন ওপেক প্লাস। ২০২৫ সালে উৎপাদন হ্রাসে তাদের পূর্ব পরিকল্পনা প্রত্যাহার করার দিকে এগোচ্ছিল সংস্থাটি। বৈশ্বিকভাবে তেলের চাহিদা হ্রাস ও সংগঠনের বাইরের গোষ্ঠীর উৎপাদন বৃদ্ধিতে এই পরিকল্পনা থেকে তারা সরে আসছে।
সংগঠনটির সরবরাহ হ্রাসের সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও চলতি বছর বৈশ্বিকভাবে তেলের বেঞ্চমার্ক, ব্রেন্ট ক্রুড, ব্যারেলপ্রতি ৭০ থেকে ৮০ ডলারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকেছে। বৃহস্পতিবার এটি ব্যারেলপ্রতি প্রায় ৭৩ ডলারে লেনদেন হচ্ছিল। এ বছরের সর্বনিম্ন দাম হয়েছিল সেপ্টেম্বরে। তখন দাম ব্যারেলপ্রতি ৬৯ ডলারের নিচে নেমেছিল।
বৃহস্পতিবার আরও জানা গেছে, ওপেক প্লাস তাদের পরবর্তী বৈঠকের তারিখ ১ ডিসেম্বর থেকে পরিবর্তন করে ৫ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছে। অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় সময় পরিবর্তন করা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানানো হয়।
১ ডিসেম্বর কুয়েত সিটিতে উপসাগরীয় দেশগুলোর একটি শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ওপেক প্লাসের কয়েকজন মন্ত্রীও সেখানে অংশ নিতে পারেন।
বর্তমানে দৈনিক ৫ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন ব্যারেল উৎপাদন কমিয়ে রেখেছে ওপেক প্লাস। যা বৈশ্বিক চাহিদার প্রায় ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। প্রথম ধাপে দৈনিক প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল উৎপাদন বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে।
নিজেদের দৈনিক তেল উৎপাদন ক্ষমতা সম্প্রসারণ করছে ইউএই। ২০২৫ সালে দৈনিক ৩ লাখ ব্যারেল উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য একটি চুক্তি করেছে তারা। এটি ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।