তুরস্ক-সিরিয়ায় শক্তিশালী দুটি ভূমিকম্পের আজ ফের ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার তুরস্কের মধ্যাঞ্চলে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ বলছে, তুরস্কের গোলবাসি শহরের কাছে ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) গভীরে ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। সোমবার সংগঠিত প্রথম ভূমিকম্পের পর বেশ কয়েকটি আফটারশক হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল।
মিশিগান টেকনোলজিকাল ইউনিভার্সিটির ব্যবহৃত ভূমিকম্পের স্কেল অনুসারে, ভূমিকম্পে ভবন ও অন্যান্য অবকাঠামোর ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
গতকাল সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিরিয়া সীমান্তবর্তী গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে। পরে দুপুরে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। তুরস্ক-সিরিয়ায় শক্তিশালী দুটি ভূমিকম্পে চার হাজার ৩৭২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে তুরস্কে ২ হাজার ৯২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে সিরিয়ায় মারা গেছে ১ হাজার ৪৫১ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিবিসি, সিএনএনসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, ধসে পড়া ভবনে অনেকে আটকা পড়েছেন। সেখান থেকে তাদের বের করে আনার চেষ্টা করছেন উদ্ধারকর্মীরা। ভয়াবহ এ ভূমিকম্পের ঘটনায় তুরস্কে সাত দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রাণহানি ৪৩০০ ছাড়িয়েছে : তুরস্ক-সিরিয়ায় শক্তিশালী দুটি ভূমিকম্পে চার হাজার ৩৭২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে তুরস্কে ২ হাজার ৯২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে সিরিয়ায় মারা গেছে ১ হাজার ৪৫১ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিবিসি, সিএনএনসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, ধসে পড়া ভবনে অনেকে আটকা পড়েছেন। সেখান থেকে তাদের বের করে আনার চেষ্টা করছেন উদ্ধারকর্মীরা। ভয়াবহ এ ভূমিকম্পের ঘটনায় সাত দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুটি ভূমিকম্পের প্রথমটি স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিরিয়া সীমান্তবর্তী গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। দ্বিতীয়টি আঘাত হানে দুপুরের দিকে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৬।
তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কে দুই হাজার ৯২১ জনের প্রাণহানি হয়েছে। অন্যদিকে সিরিয়ায় প্রাণহানি বেড়ে ১ হাজার ৪৫১ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তুরস্ক ও সিরিয়ায় অভিযান অব্যাহত আছে।
তুরস্কের জরুরি সেবাদান কর্তৃপক্ষ বলছে, সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ৭ হাজার ৩৪০ জনকে।
ভূমিকম্পের ঘটনায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সাত দিনব্যাপী জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন। এ সময় তিনি বলেন, তুরস্কে ভূমিকম্পে হতাহতদের জন্য সাত দিন শোক পালন করবে।
এরদোয়ান এক টুইটে ঘোষণা দেন, ‘আমাদের সরকারি ও বিদেশি সব দপ্তরে ১২ ফেব্রুয়ারি সূর্যাস্ত পর্যন্ত পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।’
৮৪ বছরের মধ্যে তুরস্ক এত শক্তিশালী ভূমিকম্প দেখেনি। সবশেষ ১৯৩৯ সালে উত্তর-পুর্ব তুরস্কে এমন ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল। তখন প্রায় ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এ ছাড়া ১৯৯৯ সালে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ইজমীতে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল।