অবশেষে ঘুষকাণ্ডে মুখ খুলেছেন ধনকুবের ও আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। যুক্তরাষ্ট্রে তার বিরুদ্ধে ঘুষের অপরাধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর এবারই প্রথম এ বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। শনিবার আদানি ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় শহর জয়পুরে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, তার ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান বৈশ্বিক আইন মানতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এতে বলা হয়, আদানির বিরুদ্ধে ২৬৫ (২৬ কোটি ৫০ লাখ) মিলিয়ন ডলার ঘুষকাণ্ডের অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে নিউইয়র্কের আদালত। নিজের ভাতিজা সাগর আদানি সহ আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও এই অভিযোগ তোলা হয়েছে।
আদালতের ওই অভিযোগের পর গতকাল শনিবারই প্রথম মুখ খুলেছেন আদানি। বলা হচ্ছে গত দুই বছরের মধ্যে এই অভিযোগের মধ্য দিয়ে বিশাল ধাক্কা খেল আদানি, যার মাধ্যমে বড় সংকটের মুখোমুখি হয়েছে তার প্রতিষ্ঠান। কেননা এই খবর প্রকাশের পর আদানির সঙ্গে নিজেদের বিদ্যুৎ চুক্তি পর্যালোচনার ঘোষণা দিয়েছে ভারতের একটি রাজ্য। এছাড়া ফ্রান্সের টোটালএনার্জিস (টিটিইএফ.পিএ) তাদের বিনিয়োগ সর্ম্পূর্ণ স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে ভারতের পার্লামেন্টে বিরোধী দলীয় নেতারা আদানিকাণ্ডে বেশ সরব হয়েছে।
আদানি ওই অনুষ্ঠানে বলেন, দুই সপ্তাহেরও কম সময় আগে আদানি গ্রিন এনার্জি কোম্পানির ব্যবসায়িক নিয়মকানুন ভঙ্গের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে অভিযুক্ত হয়েছি আমরা। এমন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া আমাদের জন্য এবারই প্রথম নয়। মার্কিন কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে, গৌতম আদানি, তার আত্মীয় ও আদানি গ্রিনের নির্বাহী পরিচালক সাগর আদানি এবং আদানি গ্রিনের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ভিনেত এস জেইন ভারতে বিদ্যুৎ সরবরাহের চুক্তি নিশ্চিত করতে ঘুষ দেওয়ার পরিকল্পনায় অংশ নেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে তহবিল সংগ্রহের সময় মার্কিন বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করেন। যদিও আদানি গ্রুপ এই অভিযোগ নাকচ করেছে।
এসব অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ উল্লেখ করে সকল প্রকার আইনি লড়াইয়ের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আদানি বলেন, আমি আপনাদের যা বলতে পারি তা হচ্ছে, প্রতিটি এমন আঘাত আমাদের আরও শক্তিশালী করবে এবং আদানি গ্রুপের সামনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিটি বাধাই হবে দৃঢ় পদক্ষেপ। শুক্রবার আদানি গ্রুপের ফাইন্যান্স চিফ যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের অভিযোগগুলো প্রত্যাখ্যান করেছেন।