সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের পতন হলেও একক কোনো গোষ্ঠীর হাতে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেই। প্রধান তিনটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হাতে মূলত সিরিয়ার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। যারা বিভিন্ন অঞ্চল দখল করে রেখেছে।
যদিও সিরিয়ার অধিকাংশ জনগণ ঐক্যের কথা বলছেন। এই গোষ্ঠীগুলোকে একত্রিত হওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। তবে আগামীতে তাদের স্বার্থ বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভাব হতে পারে।
বাশার আল-আসাদের পতনে ভূমিকা রেখেছে হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)। তাদের সঙ্গে ছিল আরও কয়েকটি গোষ্ঠী। আসাদ শাসনের পতনের আগে ইদলিব এইচটিএসের দখলে ছিল। কিন্তু সম্প্রতি তারা দামেস্কসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ শহর দখল করেছে।
সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলের বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সের হাতে। এটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থিত কুর্দিশ গোষ্ঠী।
তাছাড়া তুরস্কের সমর্থিত সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল।
বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ার নতুন প্রশাসনের চ্যালেঞ্জ হলো অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা। দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরুর আগে থেকেই দুর্বল ছিল অর্থনীতি। এরপর দীর্ঘ সংঘাতের কারণে সংকট আরও গভীর হয়েছে।