একাত্তরে ইন্দিরা গান্ধীর সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিজয় হয়

প্রিয়াঙ্কা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২:০৩

ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের নেত্রী ও ওয়ান্নার আসনের সংসদ সদস্য প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেছেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে ইন্দিরা গান্ধীর সাহসিকতাপূর্ণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিজয়ী হয়। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় দেওয়া ভাষণে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর এমন মন্তব্যের আগে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয়কে ‘ভারতীয় বিজয়’ বলে দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচনা ও প্রতিবাদের মুখোমুখি হয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এদিন লোকসভায় ভাষণের শুরুতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে লড়াই করা সৈন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। একই সঙ্গে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাহসিকতাপূর্ণ নেতৃত্ব ও ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
প্রিয়াঙ্কা বলেন, আজ বিজয় দিবস। প্রথমেই আমি স্যালুট জানাতে চাই সেই বীর সৈনিকদের, যারা একাত্তরে আমাদের জন্য যুদ্ধ করেছিলেন। সেই সময় বাংলাদেশে যা ঘটেছিল, সেই বিষয়ে বাংলাদেশের জনগণের কথা কেউ শোনেনি।
‘তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী, আমি তাকে স্যালুট জানাতে চাই। তিনি অত্যন্ত জটিল পরিস্থিতিতেও সাহস দেখিয়েছিলেন ও এমন নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, যা বাংলাদেশকে বিজয় এনে দেয়।’
ভাষণে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে দেশটির সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমপর্ণের মুহূর্তের দৃশ্যের একটি চিত্রকর্ম সরিয়ে ফেলার অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, পাকিস্তানি সেনারা ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করছেন, এমন একটি চিত্রকর্ম আজ সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
তবে এর আগে ভারতের সেনাবাহিনী বিষয়টি পরিষ্কার করে জানায়, ‘আইকনিক ১৯৭১ সারেন্ডার পেইন্টিং’ নামের চিত্রকর্মটি নয়াদিল্লির মানেকশ সেন্টারে স্থাপন করেছেন দেশটির চিফ অব আর্মি স্টাফ জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। চিত্রকর্মটিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় ভারতীয় পাকিস্তানি সৈন্যদের আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে। বিজয় দিবস উপলক্ষে ওই চিত্রকর্মটি মানেকশ সেন্টারে স্থাপন করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।