গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর আজ রোববার পর্যন্ত টানা ৩৯৬ দিনের মতো চলছে দেশ দুইটির সংঘাত। এতে দুই পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে তবে যুদ্ধ বন্ধে এখন পর্যন্ত কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো দুই দেশের মধ্যে এ যুদ্ধ বিপজ্জনক পর্যায়ে মোড় নিয়েছে বলে শঙ্কা বিশ্লেষকদের। এ ছাড়া চলমান এই যুদ্ধ কী পরমাণু যুদ্ধে রুপ নিচ্ছে-তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
গতকাল শনিবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এক ঘোষণায় জানান, তার দেশ বেলারুশের সঙ্গে নতুন এক চুক্তি করেছে। এর মাধ্যমে তারা বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন করবে। এই নিয়ে রাশিয়ান কিছু ভাষ্যকার সম্ভাব্য পারমাণবিক হামলা সম্পর্কে অনুমান করছে।
শনিবার রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে পুতিন বলেছেন, বেলারুশ নেতা অ্যালেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো দীর্ঘদিন ধরেই বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের কথা বলে আসছেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, এখানে অস্বাভাবিক কিছু নেই। প্রথমত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বহু দশক ধরেই এটি করে আসছে। তারা তাদের মিত্র দেশগুলোতে কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন করেছে।
ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এই যুদ্ধের একনিষ্ঠ সমর্থক বেলারুশ। দেশটির রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘ সীমান্ত আছে।
যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার সেনারা বেলারুশে গিয়ে যৌথ মহড়াও করে আসছে। পশ্চিমারা আশঙ্কা করে আসছিল, রাশিয়ার সঙ্গে এক হয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিতে পারে বেলারুশ। তবে বেলারুশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা কেবল ইউক্রেনের বাহিনীর হামলার স্বীকার হলেই এর পাল্টা জবাব দেবে। যদিও বেলারুশের এমন দাবিতে সন্দেহ আছে পশ্চিমাদের। তাই দেশটিতে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণায় নতুন শঙ্কা চাউর হলো।