অধিকৃত গোলান মালভূমিতে বসতি স্থাপন বাড়ানোর একটি পরিকল্পনা অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলের সরকার। সম্প্রতি সিরিয়ার দীর্ঘদিনের নেতা বাশার আল-আসাদের পতনের পর আরও কিছু সিরীয় এলাকা দখল করে ইসরায়েলি বাহিনী। তার কয়েক দিনের মধ্যেই অবৈধ বসতি বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত নিলো দখলদাররা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, সরকার ‘অধিকৃত অঞ্চলের জনমিতিক উন্নয়ন’ পরিকল্পনা সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছে। এই পরিকল্পনার লক্ষ্য ইসরায়েলি জনসংখ্যা দ্বিগুণ করা।
তবে নতুন পরিকল্পনা শুধু ১৯৬৭ সাল থেকে ইসরায়েল অধিকৃত গোলান মালভূমির অংশে কার্যকর হবে। ১৯৮১ সালে ইসরায়েলের পার্লামেন্ট (নেসেট) এই অঞ্চলটি কার্যত সংযুক্ত করে এবং সেখানে ইসরায়েলি আইন প্রবর্তন করে।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর ইসরায়েলের দখলে নেওয়া নতুন এলাকা এ পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত নয়। দখল করা নতুন অঞ্চলটি আগে নিরস্ত্রীকৃত ছিল এবং এতে দামেস্কের উপর নজরদারি রাখা মাউন্ট হারমন অন্তর্ভুক্ত।
নেতানিয়াহু বলেছেন, গোলান মালভূমি শক্তিশালী করা মানে ইসরায়েলকে শক্তিশালী করা। আমরা এই অঞ্চলটিকে ধরে রাখবো, উন্নত করবো এবং এখানে বসতি স্থাপন করবো।
এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ইসরায়েল সরকার ৪ কোটি ১০ লাখ শেকেল (প্রায় ১১ মিলিয়ন ডলার) বরাদ্দ করেছে। বর্তমানে গোলান মালভূমিতে প্রায় ৩১ হাজার ইসরায়েলি বসবাস করছে। তারা অসংখ্য অবৈধ বসতিতে বসবাস করে। সেখানে বসবাসকারী সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ড্রুজ সম্প্রদায় রয়েছে, যারা প্রধানত নিজেদের সিরীয় বলে মনে করে।
এদিকে, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ইসরায়েলের গোলান মালভূমি দখল অবৈধ হলেও, ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে এ অঞ্চলের ওপর ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব স্বীকার করে নেয়। ট্রাম্প সম্প্রতি ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন এবং জানুয়ারি ২০২৫-এ দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
তবে ইসরায়েলের এই নতুন পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব। ইসরায়েলি নেতাদের সিরিয়ার উত্তরণকালীন প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগ করেছে তারা।