বাংলাদেশিদের ভিসা হ্রাস

মেডিকেল টুরিজম থেকে বিপুল আয় হারাচ্ছে ভারত

ডেস্ক রিপোর্ট
  ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:৩৬

শেখ হাসিনা সরকারের পতন হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি ঘটে। এই টানাপড়েনের মধ্যে বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া কমিয়ে দেয় ভারত। এর ফলে দেশটির হাসপাতালগুলোতে বিদেশি রোগীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। সম্প্রতি আল জাজিরা এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদেন প্রকাশ করেছে। এতে ‘মেডিকেল টুরিজম’ খাত থেকে বিপুল পরিমাণের আয় হারাচ্ছে ভারত। এখন ধুকছে দেশটির চিকিৎসা খাত।

বাংলাদেশে ভারতীয় দূতাবাস আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কিছু দিন ভিসা স্থগিত রেখেছিল। কয়েক মাস ধরে সীমিত আকারে ভিসা দেওয়া হচ্ছে। এতে চিকিৎসার জন্য ভারতীয় হাসপাতালগুলোর শরণাপন্ন হওয়া বাংলাদেশি রোগীরা বিপাকে পড়েছেন। এই ভিসা প্রতিবন্ধকতার জন্য ধুঁকছে ভারতের চিকিৎসা খাতও।
আল জাজিরায় প্রতিবেদনে বলা হয়, সাধারণত ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ বিদেশি রোগী চিকিৎসা নেন, যার ৬০ শতাংশই বাংলাদেশি। গত ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশি রোগীর সংখ্যা ৮০ শতাংশ কমে গেছে। অর্থাৎ, এসব হাসপাতালে বিদেশি রোগীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়া বিদেশি রোগীরা দেশটির অর্থনীতিতেও বড় অবদান রাখেন।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে ভারত ‘মেডিকেল ট্যুরিজম’ খাত থেকে প্রায় ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার (৭৭ হাজার ১৮৯ কোটি রুপি) আয় করে। বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার পতনের আগে বাংলাদেশে ভারতের পাঁচটি ভিসা কেন্দ্রে দৈনিক অনলাইন ভিসার স্লট ছিল সাত হাজার। এখন এই সংখ্যা পাঁচশোতে নেমেছে।
বাংলাদেশি রোগী যাওয়া কমে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কলকাতার হাসপাতালগুলো। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট কলকাতার মাল্টি-স্পেশালটি পিয়ারলেস হাসপাতালের বহির্বিভাগে আগে দিনে ১৫০ জন বাংলাদেশি রোগী চিকিৎসা নিতেন। এখন তা ৩০-এর নিচে নেমেছে।
ভারতের স্বাস্থ্যসেবা অ্যাসোসিয়েশনের আলেকজান্ডার থমাস আল জাজিরাকে জানান, বেঙ্গালুরুর নারায়ণ হেলথ, চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো এবং ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজও (সিএমসি) এই ভিসা প্রতিবন্ধকতার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।