সিঙ্গাপুরে এক কেজি গাঁজা সরবরাহের দায়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। বুধবার ভোররাতে চাঙ্গি কারাগারে ৪৬ বছর বয়সী তাঙ্গারাজু সুপ্পিয়াকে ফাঁসি দেওয়া হয় বলে তার পরিবার জানিয়েছে।
তাঙ্গারাজুর পরিবার, অ্যাক্টিভিস্ট এবং জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ক্ষমার আবেদন জানানো হয়েছিল। খবর বিবিসির।
অ্যাক্টিভিস্টরা বলেছেন, তাঙ্গারাজু দুর্বল প্রমাণের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং তার বিচার চলাকালে আইনি অধিকার সীমিত ছিল।
কর্তৃপক্ষ বলছে, যথাযথ প্রক্রিয়া মানা হয়েছে এবং আদালতকে প্রশ্ন করার জন্য অধিকারকর্মীদের সমালোচনা করেছে কর্তৃপক্ষ।
সিঙ্গাপুরে বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন মাদকবিরোধী আইন রয়েছে, যেগুলো মাদক অপরাধ প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিবন্ধক বলে দাবি করা হয়।
গত বছর দেশটি হেরোইন পাচারের জন্য একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধীসহ মাদকের অভিযোগে ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।
বুধবার টাঙ্গারাজু সুপ্পিয়ার পরিবার শহরের পূর্বের কারাগারে জড়ো হয়েছিল।
মৃত্যুদণ্ড বিরোধী কর্মী কার্স্টেন হ্যান বুধবার বিবিসিকে বলেছেন, ‘পরিবার বলেছে যে তারা শেষ পর্যন্ত তাকে ছেড়ে দেবে না। এটি তাদের জন্য এমন একটি বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা ছিল।’
‘তাদের (পরিবারের) এখনও তার মামলা এবং তার বিরুদ্ধে প্রমাণ সম্পর্কে অনেক অমীমাংসিত প্রশ্ন রয়েছে।’ বলেন কার্স্টেন হ্যান।
অ্যাক্টিভিস্টরা বলছেন, সিঙ্গাপুরের কঠোর মাদক আইন এবং মৃত্যুদণ্ডের ব্যবহার দেশটিকে এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান বৈষম্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
এর প্রতিবেশী মালয়েশিয়া এই মাসের শুরুতে বাধ্যতামূলক মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে বলেছে, এগুলো অপরাধের প্রতিরোধক নয়।
প্রতিবেশী থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের অনেক জায়গায় গাঁজাকে বৈধ করা হয়েছে, যেখানে এর বাণিজ্যকে উৎসাহিত করা হয়।
মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরের আদালত ২০১৮ সালের দোষী সাব্যস্ততার বিরুদ্ধে টাঙ্গারাজু সুপিয়ার পরিবারের একটি শেষ মুহূর্তের আপিল প্রত্যাখ্যান করে দেয়।
২০১৩ সালে মালয়েশিয়া থেকে সিঙ্গাপুরে প্রায় ১ কেজি গাঁজা পাচারের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়ার জন্য তাঙ্গারাজু সুপ্পিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।