ক্রমশ ভারতে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে স্নায়ুরোগ গুলেন বারি সিনড্রোম বা জিবিএস। ইতোমধ্যে মহারাষ্ট্রে একজনের প্রাণও কেড়েছে বিরল এই স্নায়ুর রোগ। পশ্চিমবঙ্গেও আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে। সোমবার দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। এই ঘটনা রাজ্যে প্রথম বলেই জানা যাচ্ছে।
জিবিএস রোগে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। এর ফলে উদ্বেগে প্রায় সবাই। তবে আতঙ্কিত না হয়ে উপসর্গ দেখলেই সাবধান হওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
এদিকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসতের প্যারিচরন সরকার রাষ্ট্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর এই রোগে মৃত্যু হয়েছে। জিবিএসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবরে সোমবার তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আমডাঙা ব্লকের বেড়াবেরিয়া পঞ্চায়েতের টাবাবেরিয়ে গ্রামের বাসিন্দা তারা। ওই দম্পতির একমাত্র সন্তান ছিল সে।
চিকিৎসক বিবর্তন সাহা বলেন, এই রোগ নতুন নয়। রাজ্য স্বাস্থ্যব্যবস্থা অত্যন্ত সুসজ্জিত। যে কোনও পরিস্থিতিকে সামলানোর জন্য পরিকাঠামোগতভাবে যথেষ্ট স্থিত অবস্থায় রয়েছে। এ নিয়ে নতুন করে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
চিকিৎসকদের মতে, নার্ভ কন্ডাকশন ভেলোসিটি টেস্ট এবং সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড - এই দুটি পরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগ চিহ্নিত করা সম্ভব। রোগীকে সারাক্ষণ নজরে রাখতে হবে। তাকে ভর্তি করতে হবে হাসপাতালে। ভেন্টিলেশনের সুবন্দোবস্ত রয়েছে এমন হাসপাতালেই ভর্তি করতে হবে তাকে। ইন্ট্রাভেনাস ইমিউনোগ্লোবিউলিন এবং প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা হয়। বহু ক্ষেত্রে রোগী সুস্থ হয়েও বাড়ি ফেরে। তবে সময়মতো সুচিকিৎসার বন্দোবস্ত না হলে জিবিএস প্রাণঘাতী রূপ নিতে পারে।
চিকিৎসারা বলছেন, ঘন ঘন হাত পরিষ্কার রাখতে হবে। রাস্তার কাটা ফল, সালাদ খাওয়া বন্ধ করে রান্না করা খাবার খেতে হবে। উপসর্গ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।