নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশি দূতকে পাল্টা তলব

শেখ হাসিনার বক্তব্য ব্যক্তিগতভাবে দেওয়া: ভারত

ডেস্ক রিপোর্ট
  ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩:৪২
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে যে মন্তব্যগুলোর কথা বলা হচ্ছে, সেগুলো তাঁর ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে দেওয়া, তাতে ভারতের কোনো ভূমিকা নেই।তাঁর বক্তব্যের সঙ্গে ভারত সরকারের অবস্থানকে এক করে ফেললে তা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনো ইতিবাচক মাত্রা যোগ করতে সহায়ক হবে না। আজ শুক্রবার নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করে এ কথা বলেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আজ বিকেল পাঁচটায় বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. নুরাল ইসলামকে তলব করা হয়। সেখানে তাঁর সঙ্গে আলোচনার বিষয়গুলো ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে তুলে ধরা হয়েছে। এর আগে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য দেওয়া নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শেখ হাসিনা ক্রমাগত মিথ্যা ও বানোয়াট মন্তব্য ও বিবৃতি দিচ্ছেন উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, তাঁর (শেখ হাসিনা) এ ধরনের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের প্রতি একটি শত্রুতামূলক কাজ হিসেবে বিবেচিত এবং দুই দেশের মধ্যে একটি সুস্থ সম্পর্ক স্থাপনের প্রচেষ্টার জন্য সহায়ক নয়।
এরপর আজ নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করা হয়। এ নিয়ে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়ালের বক্তব্য দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে তুলে ধরা হয়।
জয়সোয়াল বলেন, ‘বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে যে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ইতিবাচক, গঠনমূলক ও উভয়ের জন্য লাভজনক সম্পর্ক চায়, যা সম্প্রতি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকগুলোতে বেশ কয়েকবার পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে। তবে এটা দুঃখজনক যে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের নিয়মিত বিবৃতিগুলোতে ভারতকে নেতিবাচকভাবে চিত্রায়িত করা হচ্ছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ শাসনসংক্রান্ত বিষয়গুলোর জন্য তারা আমাদের দায়ী করছে। বাস্তবিক অর্থে বাংলাদেশের এসব বিবৃতিই বিরাজমান নেতিবাচক পরিস্থিতির জন্য দায়ী।’
জয়সোয়াল আরও বলেন, ‘ভারত সরকার যখন পারস্পরিক স্বার্থের সহায়ক সম্পর্কের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবে, তখন আমাদের প্রত্যাশা থাকবে যে বাংলাদেশও পরিবেশের অবনতি না হয়, সে ব্যাপারে সচেষ্ট থেকে সম্পর্কের স্বার্থে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’