রাতভর অবরুদ্ধ গাজায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গাজার শতাধিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর পাল্টাপাল্টি হামলার প্রভাবে গাজার ১ লাখ ২৩ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত। সোমবার এমনটাই জানিয়েছে জাতিসংঘ।
রবিবার রাতে গাজায় ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলায় ফিলিস্তিনের ১৫৯টি বেসামরিক ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। আরও ১২শ’র বেশি আবাসিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা বলছে, ২২৫ জনের বেশি লোকজন আশ্রয় নেওয়া একটি স্কুলে সরাসরি হামলা চালায় ইসরায়েল। তবে হামলাটি কোন দিক থেকে এসেছিল তা জানা যায়নি।
এমন বাস্তবতায় অনেকটা ধ্বংসস্তূপে পরিণত গাজা উপত্যকা। চারদিকে সাধারণ মানুষের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠেছে পরিবেশ। সব কিছু হারিয়ে পথে বসে পড়েছেন অনেকে। যে যেভাবে পারছেন উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিয়েছেন। হাসপাতালগুলোতে আহতদের চাপ বাড়তে থাকায় হিমশিম খাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। মানবিক পরিস্থিতি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এই পরিস্থিতিতেও বেসামরিক স্থাপনাকে টার্গেট করে যাচ্ছে ইসরায়েলি বিমান। তবে সাধারণ মানুষ নয়, হামাস ও ইসলামিক জিহাদের আস্তানা ও গোলাবারুদ লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)।
উদ্ধারকারীদের বরাতে একাধিক ইসরায়েলি নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, শনিবার থেকে হামাসের তাণ্ডবে ৭০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে ৪৪ জন সেনা রয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, ইসরায়েলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত নারী-শিশুসহ ৪১৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ২ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। তবে একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, তারা ৪০০ ফিলিস্তিনি জঙ্গিকে হত্যা করেছে। সূত্র: এপি