‘সঙ্কটাপন্ন’ পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা, বিভিন্ন দেশে প্রার্থনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০৬

হাঁপানি, নিউমোনিয়া, রক্তের জটিলতাসহ আরও বেশকিছু শারীরিক জাটিলতা নিয়ে ১০ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ক্যাথলিক চার্চের প্রধান পোপ ফ্রান্সিস। তার অবস্থা এখনো ‘সঙ্কটাপন্ন’। বিশ্বজুড়ে ক্যাথলিকরা ৮৮ বছর বয়সী এই ব্যক্তির আরোগ্য প্রার্থনা করেছেন।
গত শনিবার সকালে দীর্ঘ সময় ধরে শ্বাসকষ্টের পর ফ্রান্সিসের আর কোনো শ্বাসকষ্ট হয়নি। ভ্যাটিকান সিটির কেন্দ্রীয় গভর্নিং বডি হলি সি এক আপডেটে রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছে, তিনি নাকের ক্যানুলার মাধ্যমে ‘উচ্চ-প্রবাহ’ অক্সিজেন গ্রহণ করছেন।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, পোপের রক্তে প্লাটিলেটের সংখ্যা অস্বাভাবিক নেমে যাওয়ায় ‘থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া’ দেখা দিয়েছে। ফলে তার শরীরে দুই ইউনিট ‘লোহিত রক্তকণিকা’ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তার অবস্থা স্থিতিশীল হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, কিছু রক্ত পরীক্ষায় প্রাথমিক, হালকা, কিডনি ব্যর্থতা দেখা গেছে, যা বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
পোপ ফ্রান্সিসকে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শ্বাসকষ্ট নিয়ে রোমের জেমেলি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথমে তার ব্রঙ্কাইটিস ধরা পড়ে। পরে উভয় ফুসফুসে নিউমোনিয়া ধরা পড়লে শনিবার রাতে ভ্যাটিকান প্রথমবারের মতো তার অবস্থা ‘সংকটাপন্ন’ বলে সতর্ক করে।
পরবর্তীতে রোববার ভ্যাটিকান বলে, ‘পবিত্র পিতার অবস্থা এখনো সংকটজনক। তবে গতকাল সন্ধ্যা থেকে তার আর কোনো শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়নি।’
গত কয়েকদিন আগে নিজের লিখিত (রোববার প্রকাশিত) একটি বার্তায়, ফ্রান্সিস হাসপাতাল কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাদের চিকিৎসার প্রতি তিনি আস্থাশীল। ‘আমি আত্মবিশ্বাসের সাথে জেমেলি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি। বিশ্রামও থেরাপির অংশ! আমি আপনাদের কাছে আমার জন্য প্রার্থনা করার অনুরোধ করছি।’
ইতালীর শিক্ষক ইলদে জিটো হাসপাতাল থেকে বলেন, ‘আমি তার জন্য, তার স্বাস্থ্যের জন্য প্রার্থনা করছি, তিনি আমাদের সকলের জন্য একজন বিশেষ ব্যক্তি।’ এছাড়া অন্যান্য খ্রিস্টান ও বিশ্ব নেতাদের পাশাপাশি বিশ্বের প্রায় ১.৪ বিলিয়ন ক্যাথলিকের পক্ষ থেকেও প্রার্থনা ও সংহতির বার্তা আসছে।
বুয়েনস আয়ার্সের ক্যাথেড্রালে ফ্রান্সিস একসময় আর্চবিশপ ছিলেন। সেখানকার পুরোহিত রোববার একটি বিশেষ প্রার্থনা করেন।
ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় শহর মসুল, যেখানে ২০২১ সালে ফ্রান্সিস ঘুরতে গিয়েছিলেন, শহরটিতে অনেক ক্যাথলিক খ্রিস্টান তার জন্য প্রার্থনা করেছেন।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউম সোশ্যাল মিডিয়ায় আমেরিকা মহাদেশের প্রথম পোপকে ‘মহান মানবতাবাদী’ উল্লেখ করে ফ্রান্সিসের দ্রুত আরোগ্যের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।