তুরস্ক পশ্চিম সীমান্তে আট দশমিক পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি প্রাচীর নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। সেখানে প্রতিবেশী দেশ গ্রিস ও বুলগেরিয়া এরই মধ্যে তাদের নিজস্ব বেড়া তৈরি করেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে যাতে অবৈধভাবে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য এই প্রাচীর নির্মাণ করা হবে।
তুরস্ক এর আগে ইরান ও সিরিয়ার সঙ্গে সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণ করেছে।
উত্তর-পশ্চিম তুরস্কের এডির্নের গভর্নর ইউনুস সেজার জানিয়েছেন, প্রথমবারের মতো আমরা এই বছর পশ্চিম সীমান্তে দৃশ্যমান নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
গভর্নর বলেন, প্রাথমিকভাবে আট দশমিক পাঁচ কিলোমিটার প্রাচীর নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে এটি আরও বাড়ানো যেতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা গ্রিসের সীমান্ত থেকে শুরু করবো এবং পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে আগামী সময়ে এটি বাড়ানো হবে। তুরস্কের সঙ্গে গ্রিসের ২০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে।
২০১২ সালে গ্রিস তুরস্কের সীমান্তে ১১ কিলোমিটার দুটি তিন মিটার লম্বা কাঁটাতারের বেড়া তৈরি করে।
পরবর্তীসময়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোতাকিস ২০২৬ সালের মধ্যে এটি ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি প্রসারিত করার প্রতিশ্রুতি দেন।
২০১৪ সালে বুলগেরিয়া তুরস্কের সঙ্গে সীমান্তে ৩০ কিলোমিটার লম্বা একটি তারের বেড়া স্থাপন করে।
সূত্র: এএফপি