শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর থাইল্যান্ডের রাজধানীতে থমকে গেছে জীবনযাত্রা। শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরের পর থেকে ব্যাংককের রাস্তায় যান চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে।
ভূমিকম্পের কারণে থাই রাজধানীতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। এর ফলে বহু মানুষ অফিস থেকে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে বাড়ির দিকে যাত্রা করেন।
ট্র্যাফিক রেডিও স্টেশনগুলো জানিয়েছে, ব্যাংককে এমনিতেই শুক্রবার যানজট বেশি থাকে। ভূমিকম্পের প্রভাবের কারণে তা আরও বেড়ে গেছে।
যাত্রীরা নিরাপত্তার কারণে এক্সপ্রেসওয়ে ও অন্যান্য উঁচু সড়ক ব্যবহার করতে পারছেন না, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ব্যাং ফো রোডের মোড়ে একটি ক্রেন বিধ্বস্ত হওয়ায় যান চলাচল আংশিক বন্ধ রয়েছে।
ব্যাংককের সব গণপরিবহন ব্যবস্থা, যেমন বিটিএস এবং এমআরটি, কাঠামোগত পরিদর্শনের জন্য সেবা স্থগিত করেছে।
ভূমিকম্পে থাই রাজধানীর বেশ কিছু ভবন ধসে পড়েছে অথবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চাতুচাক এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ৩০ তলা ভবন ধসে পড়ে অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে। এই ঘটনায় তদন্ত চলছে।
কর্তৃপক্ষ কামপেং পেট ২ সড়ক থেকে কিলোমিটার মার্কার ১১ থেকে জে.জে. মল পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে।
এছাড়া, দিন দেং টোলওয়ে ও চেলেম মহা নাখন এক্সপ্রেসওয়েও বন্ধ রয়েছে।
এয়ার ট্র্যাফিক নিরাপত্তার জন্য অ্যারোনটিক্যাল রেডিও অব থাইল্যান্ড দেশব্যাপী সব উড়োজাহাজ উড্ডয়ন সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। তবে অবতরণের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
থাই কর্তৃপক্ষ পরবর্তী ভূমিকম্পের জন্য জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে এবং অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে।
সূত্র: থাই পিবিএস