মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রসহ দেশে দেশে শেয়ারবাজারে ফের পতন দেখা গেছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) জাপানের নিক্কেই সূচক ৪ শতাংশ ও হ্যাং সেং ১ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। এর একদিন আগে সোমবার হ্যাং সেং ১৩ শতাংশ পতনের মধ্য দিয়ে গেছে, যা ১৯৯৭ সালের এশিয়ান আর্থিক সংকটের পর সবচেয়ে বড় দৈনিক পতন।
ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক আরোপের ধাক্কা কমাতে দক্ষিণ কোরিয়া অটো শিল্পের জন্য ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের জরুরি সহায়তা ব্যবস্থা ঘোষণা করার পর বেঞ্চমার্ক কোস্পির সূচক মন্দার বাজারে নেমে এসেছে, যা সাম্প্রতিক শীর্ষ থেকে ২০ শতাংশ কমেছে।
মার্কিন শেয়ারবাজারেও উল্লেখযোগ্য পতন দেখা গেছে। ডাও জোনস ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ ৭৫০ পয়েন্ট বা ৫ দশমিক ৫ শতাংশ কমে গেছে। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক কমেছে ২ দশমিক ২ শতাংশ। তাছাড়া নাসডাক কম্পোজিটের শেয়ার ২ দশমিক ৫ শতাংশ পড়ে গেছে।
তাছাড়া এদিন ব্যারেলপ্রতি ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ২ দশমিক ৩৮ ডলার বা ৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ কমে ৬০ দশমিক ৪৪ ডলারে নেমে এসেছে। একইভাবে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ২ দশমিক ৪৬ ডলার বা ৪ দশমিক ১৩ শতাংশ কমে ৫৭ দশমিক ১২ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
মূলত সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীন একে অপরের ওপর প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ শুরু করেছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে।
চীনের ওপর শুল্ক আরও ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে ১০৪ শতাংশ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ।
এর আগে সোমবার চীনের প্রতি সতর্কতা উচ্চারণ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, তারা (চীন) যদি আমেরিকান পণ্যের ওপর নতুন করে আরোপ করা ৩৪ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার না করে তাহলে তাদের ওপর আরও শুল্ক চাপানো হবে।
গত সপ্তাহে চীনের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক ঘোষণার পর তারাও আমদানিকৃত সব আমেরিকান পণ্যের ওপর প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে নতুন করে ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়। চীনের নেতারা চলমান বাণিজ্য যুদ্ধে ‘শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার’ প্রতিশ্রুতি দেন।
সূত্র: সিএনএন